কুলাউড়ায় করোনা টিকা প্রাপ্তিতে দীর্ঘ অপেক্ষা জনমনে ক্ষোভ কুলাউড়ায় করোনা টিকা প্রাপ্তিতে দীর্ঘ অপেক্ষা জনমনে ক্ষোভ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ৩ শীর্ষনেতা বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন বড়লেখায় যুব ফোরামের অর্ন্তভূক্তিকরণ সভা রাজারহাটে শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ ওসমানীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্যানেটারী মিস্ত্রির মৃত্যু বড়লেখায় গণশুনানি : গ্রাহক হয়রানীর দায়ে পল্লীবিদ্যুত আজিমগঞ্জ কেন্দ্রের ইনচার্জকে বদলির নির্দেশ কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেললাইনের পাশে অবৈধ পশুর হাট কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুর রহমানের সমর্থনে মতবিনিময় কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেহার বেগমের মতবিনিময় বড়লেখায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির ঈদ পুর্নমিলনী

কুলাউড়ায় করোনা টিকা প্রাপ্তিতে দীর্ঘ অপেক্ষা জনমনে ক্ষোভ

  • শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১

এইবেলা, কুলাউড়া ::

কুলাউড়া উপজেলায় করোনার টিকা প্রাপ্তিতে রহস্যময় বিলম্বের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টিকা নিতে আসা মানুষের সাথে টিকা প্রদানকারীদের তাচ্ছিল্যমুলক ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে। ফলে মানুষের মনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

কুলাউড়া উপজেলার পাশর্^বর্তী উপজেলাগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা টিকা রেজিস্ট্রেশনের সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে মানুষ টিকা গ্রহণ করছে। অথচ কুলাউড়া হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ২৯ জুলাই কেবল তারাই টিকা গ্রহণ করছে যারা ১৪ ও ১৫ জুলাই টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। রেজিস্ট্রশন করে দীর্ঘ অপেক্ষার পর অনেকেই রেজিস্ট্রেশন সঠিক হয়েছে কি-না?- তা যাচাই করছেন। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। কেননা মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে কুলাউড়া উপজেলায় করোনা সংক্রামনের উর্ধ্বগতি। মানুষ তাই টিকা নিতে বিভিন্ন মোবাইল সেন্টারে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করছে।
১৩ জুলাই করোনা টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন ষাটোর্ধ্ব আব্দুল মালিক ও রাবেয়া বেগম দম্পতি। অপেক্ষা করতে করতে তারা টিকা নেন ১৩ দিন পর ২৬ জুলাই। ১৫ জুলাই শান্ত মালাকার ও মালতী মালাকার দম্পতি করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশন করেন। কিন্তু ১৪ দিন পর ২৯ জুলাই তারা করোনা টিকা নেন।

টিকা গ্রহিতারা অভিযোগ করেন, টিকা কেন্দ্রে আসার পর ফের রেজিস্ট্রি থাকায় এন্ট্রি করেন হাসপাতালের লোকজন। এরপর টিকা নিতে হয়। এন্ট্রি করা ও টিকা প্রদানকারীদের কাছে টিকা নিতে আসা মানুষের কোন গুরুত্ব নেই। তাদের মর্জিমতো টিকাদান। এতে তাদের কোন সুহৃদ কিংবা আত্মীয় হলেই শুরু হয় হুলুস্থল কারবার। আর বাকিরা যেন তাদের কাছে করুনার পাত্র।

টিকা গ্রহিতার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সরকার যখন মানুষকে দ্রুত টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে, তখন কুলাউড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেন ঠিক উল্টোপথে হাটছে। ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি কিভাবে বাস্তবায়ন করবে এরা। কুলাউড়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এরা টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন এদের এই কচ্ছপ গতির কাজে কিভাবে বাস্তবায়ন হবে?

অনুসন্ধানে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে ৫ শতাধিক মানুষ করোনার রেজিস্ট্রেশন করছেন। রেজিস্ট্রেশনকৃতদের তালিকা হাসপাতালের সফ্টওয়ারের ডাটায় সংযুক্ত হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে তাদের ইচ্ছামাফিক ২-৩ শ মোবাইলে ম্যাসেজ প্রদান করেন। তারা চাপ নিতে চান না বলে কম মানুষের মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠান। এতে জট সৃষ্টি হয়ে ১৩-১৪ তিন পেছনে পড়ে যাচ্ছে। অথচ পাশের উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা শতভাগ টিকা প্রদান করে এগিয়ে রয়েছেন।

কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার জানান, সিনোফার্মার টিকা আসার আগে থেকেই কুলাউড়ায় ২-৩ হাজার মানুষ অগ্রিম নিবন্ধন করেছিলেন। তাদের টিকা প্রদান করে এবং প্রবাসীদের অগ্রাধিকার দিয়ে টিকা দেয়ায় কুলাউড়ায় টিকাদানে কিছুটা ধীর গতি। ২ বুথে দিনে ২-৩ শ জনকে করোনা টিকা প্রদান করা হয়। টিকা প্রদানে কোন ধরনের গাফিলতি হচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ঘাটতি কাটিয়ে উঠে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদানের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews