কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলীর অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত সম্পন্ন কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলীর অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত সম্পন্ন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বৃহত্তর সিলেট জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু নিহত ওসি মোস্তাফিজের স্মৃতিতে নির্মিত গোলঘর ‘প্রেরণা’র উদ্বোধন করলেন প্রতিমন্ত্রী শফিক চৌধুরী এমপি মনু নদীর চাতলাঘাটে আইন অমান্য করে বালু উত্তোলন : বিপর্যস্ত হচ্ছে পরিবেশ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ জুড়ীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ও প্রদর্শনী-সেরা ষ্টল দাতা হাবিবুর আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা কুড়িগ্রামে লোকসংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে শতভূজা বাসন্তী পূজা সমাপ্ত কমলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন

কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলীর অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত সম্পন্ন

  • রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২

তদন্ত কমিটির সম্মুখে ঘুষ গ্রহণসহ অনিয়ম দুর্নীতির প্রমাণ দিলেন অভিযোগকারীরা

এইবেলা, কুলাউড়া  ::

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধার বিরুদ্ধে ঘুষবাণিজ্য ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৮ আগস্ট) কুলাউড়া উপজেলা কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নুরুল হুদার নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটি অভিযোগের তদন্ত করেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান নুরুল হুদার উপস্থিতিতে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, এলজিইডি ঠিকাদারসহ অর্ধশতাধিক অভিযোগকারী উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধার বিরুদ্ধে ঘুষবাণিজ্য ও অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেন। সেই সাথে অভিযুক্ত উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধাকে প্রত্যাহার ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

কমিটির প্রধান নুরুল হুদা ছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেটে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নির্মল কুমার বিশ্বাস ও মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন সরকার।

অভিযোগকারীরা জানান, বরাদ্দকৃত কাজের বিল পাস করাতে হলে আমিনুল ইসলাম মৃধাকে ১০ পার্সেন্ট থেকে ২০ পার্সেন্ট কমিশন দিতে হয়। নতুবা তিনি কোন বিলের ছাড়পত্রে স্বাক্ষর করেন না। টাকা ছাড়া একাধিকবার তাঁর কাছে গেলে কোন কাজ হয় না। এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজের ২ লাখ টাকা বরাদ্দেও তাঁকে ৫ হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে প্রধান শিক্ষিকাকে। টাকা না দিলে কাজের প্রত্যয়ন দিতে চান না আমিনুল ইসলাম মৃধা। শিকক্ষদের সাথে খারাপ আচরণেরও অভিযোগ করেন।

এ ছাড়াও তদন্ত কমিটির প্রধান নুরুল হুদাকে উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, মাস দেড়েক আগে কুলাউড়ার ১৩টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে এসব অনিয়ম ও সেচ্ছ্বাচারিতার অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব করেন। বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তিনি সম্প্রতি কৌশলে নানা প্রতারণার আশ্রয় নেন। ইউপি চেয়ারম্যানদের ‘আমার গ্রাম,আমার শহর’ প্রকল্পের নামে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প জমা দিতে বলেন। প্রকল্প তৈরী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দিলে, অভিযুক্ত প্রকৌশলী (আমিনুল) জানান এটি সরাসরি তাঁর কাছে জমা দিতে হবে। তখন তাঁদের কাছে বিষয়টি ধরা পড়ে এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি খুলে বলেন। কয়েকটি ইউনিয়নের স্থানীয়দের কাছে এরকম বিশাল প্রকল্পের বরাদ্দ হবে বিষয়টি জানাজানি হলে এটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন কয়েকজন চেয়ারম্যান। মুলত নিজের অপকর্ম আড়াল করতে তিনি প্রকল্পের নামে চেয়ারম্যানদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর শেষ রক্ষা হয়নি।

কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ জানান, তিন সপ্তাহ আগে প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধা আমাকে জানান ‘আমার গ্রাম,আমার শহর’ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ পাওয়া যাবে। এজন্য স্কীম আকারে প্রকল্প তৈরী করে দিতে হবে। আমি তাঁর কথায় প্রকল্প তৈরী করে দিয়েছিলাম। বিষয়টি আমার ইউনিয়নের বাসিন্দারা জেনে আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। পরে জানতে পারি এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে এরকম বিশাল বাজেটের কোন বরাদ্দ নেই। তাঁর এরকম প্রতারণায় আমার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বিভ্রান্তিতে পড়েছি।

বিষয়টি জানতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কুলাউড়া উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃদার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

৩ সদস্যের কমিটির প্রধান নুরুল হুদা তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের জানান, সবার সামনে তদন্ত অনুষ্ঠিত হলো। আমরা তদন্ত প্রতিবেদন যথাসময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা করবো। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এর বেশি আর কিছু বলতে চাই না।

উল্লেখ্য, কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মুধার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মহসিন সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নুরুল হুদার নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেন এবং বিষয়টি তদন্তক্রমে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews