কুলাউড়ায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ গ্রাহক কুলাউড়ায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ গ্রাহক – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা কুড়িগ্রামে লোকসংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে শতভূজা বাসন্তী পূজা সমাপ্ত কমলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মইনুল ইসলাম সবুজের মতবিনিময় কুলাউড়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বড়লেখায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ও প্রদর্শনী বড়লেখায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ বড়লেখায় আমেরিকা প্রবাসী বিএনপি নেতাকে সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী কুলাউড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজু’র মতবিনিময়

কুলাউড়ায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ গ্রাহক

  • মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

এইবেলা ডেক্স, কুলাউড়া ::

কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং যন্ত্রনায় অতিষ্ঠি ৭নং ওয়ার্ডের চার’টি এলাকার পাঁচ শতাধিক গ্রাহক। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হয় তাদেরকে। বিষয়টি বার বার জুড়ী অভিযোগ কেন্দ্রে জানানোর পরও কার্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা তারা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এমন খামখেয়ালীপনায় ক্ষুভে ফুঁসে উঠেছেন ওই এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।

সরেজমিন মেরিনা চা-বাগান এলাকায় গেলে দেখা যায়, শতাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক মেরিনা চা-বাগান ব্যবস্থাপক কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন। পল্লী বিদ্যুতের বড়লেখা বিতরণ কেন্দ্রে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। তাদেরকে নেতৃত্বদানকারী বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি খোকা নায়েক সাংবাদিকদের জানান, আমাদের এই বাগান এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ২০৯ জন গ্রাহক রয়েছেন। বর্তমানে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে গুরুত্ব দিচ্ছেনা। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকেনা। জুড়ী অভিযোগ কেন্দ্রে বার বার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেনা। বিষয়টি জানাতে বড়লেখা অফিসের ডিজিএমকে ফোন দিলে তিনি গ্রাহকের কথা না শুনে জুড়ী অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন দেয়ার কথা বলেই লাইন কেটে দেন। এ নিয়ে গ্রাহকরা দারুণ ভোগান্তিতে পড়েছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা হাবিজ মিয়া, বাগান শ্রমিক মন্টু ঘোষ, দুলাল মিয়া, রমজান আলী, জাহানারা বেগম, পঞ্চায়েত নারী নেত্রী জোসনা বেগমসহ অনেকেই ক্ষোভের সাথে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ এখন আমাদের গলার কাঁটা। লোডশেডিং যন্ত্রনায় আমরা অতিষ্ট। ২৪ ঘন্টার মাঝে ৫-৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। তাও গভীর রাতে। ঘরের কাজ-কর্মসহ শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় বিঘ্নতা ঘটছে। এছাড়াও প্রতি মাসে অতিরিক্ত বিল আসে। যা পরিশোধ করতে শ্রমিকদের রিতীমতো হীমশীম খেতে হয়।

জয়চন্ডী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মনু মিয়া জানান, এই ওয়ার্ডে পল্লী বিদ্যুতের পাঁচ শতাধিক গ্রাহক রয়েছেন। বর্তমানে টানা লোডশেডিং যন্ত্রনায় আজ অতিষ্ঠ তারা। যে কোন দূর্ঘটনায়ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে তাদেরকে পাওয়া যায়না। মনে হয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের সাথে মশকারা করছে।

মেরিনা বাগান ব্যবস্থাপক রবিউল হাসান জানান, আমাদের ফেক্টরি ছাড়া বাকি স্টাফ এবং লেবার কোয়ার্টারে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে। কিন্তু ২৪ ঘন্টার অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ থাকেনা। গ্রাহকদের এই দুর অবস্থার কথা আমি নিজেও ডিজিএমকে জানিয়েছি। কিন্তু আজঅবদি কোন সুরাহা হয়নি, যা অত্যান্তই দুঃখজন।

পল্লী বিদ্যুৎ বড়লেখা অফিসের ডিজিএম ইমাজ উদ্দিন সরদার জানান, বিষয়টি জেনেছি। প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চলে একটি বিশাল গাছ ৩৩ হাজার কেভি লাইনের উপর পড়ে গিয়ে লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালনে ব্যাঘাত হয়েছে। আমরা দ্রুতই সেটা সংস্কার করে বিদ্যুৎ সঞ্চালন স্বাভাবিক করতে কাজ করছি।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews