পুলিশের কৌশল আর বুদ্ধিমত্তায় আটক হন আকবর! পুলিশের কৌশল আর বুদ্ধিমত্তায় আটক হন আকবর! – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ৩ শীর্ষনেতা বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন বড়লেখায় যুব ফোরামের অর্ন্তভূক্তিকরণ সভা রাজারহাটে শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ ওসমানীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্যানেটারী মিস্ত্রির মৃত্যু বড়লেখায় গণশুনানি : গ্রাহক হয়রানীর দায়ে পল্লীবিদ্যুত আজিমগঞ্জ কেন্দ্রের ইনচার্জকে বদলির নির্দেশ কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেললাইনের পাশে অবৈধ পশুর হাট কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুর রহমানের সমর্থনে মতবিনিময় কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেহার বেগমের মতবিনিময় বড়লেখায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির ঈদ পুর্নমিলনী

পুলিশের কৌশল আর বুদ্ধিমত্তায় আটক হন আকবর!

  • মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০
এইবেলা, সিলেট ::

সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে আটক হন বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ (বরখাস্ত) এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া। এসময় তাকে আব্দুর রহিম নামে স্থানীয় এক যুবক আটক করেন। আটক করে কানাইঘাট থানার ওসিকে উদ্দেশ্য করে রহিম বলেন, ওসি স্যারকে বলে দাও, আমি তাকে পাইছি, লইয়া রওয়ানা দিরাম।

বিকেলে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ প্রেস কনফারেন্সে বলেন, পুলিশের বিশ্বস্থ বন্ধু আকবরকে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে আটক করেছে। এর পরপরই এসপির বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আব্দুর রহিমসহ ভারত সীমান্তবর্তী আরো কয়েকজন ছিল পুলিশের বিশ্বস্থ বন্ধু। তাদের উদ্দেশ্য করেই এসপি ফরিদ উদ্দিন বক্তব্য দিয়েছিলেন।

জানা যায়, রায়হানের খুনী এসআই আকবর ভুইয়া ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর শিলচরের একটি বাসায় বসবাস করতে থাকেন। যখন তিনি জানতে পারেন তাকে আটক করতে সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। তখন তিনি শিলচর থেকে গুহাটি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। এসময় শিলচরে থাকা কানাইঘাট থানা পুলিশের সোর্স তাকে ১ লক্ষ টাকা চুক্তিতে শিলচর থেকে গুহাটি নিতে রাজি হন। কিন্তু গুহাটি না নিয়ে ওই সোর্স রোববার কানাইঘাট সুরইঘাট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু সুরইঘাট সীমান্তে বিএসএফ এর কড়া নিরাপত্তা থাকায় রোববার তাকে বাংলাদেশে আনতে পারেননি। পরদিন সোমবার ডনা সীমান্ত দিয়ে আকবরকে আব্দুর রহিমের কাছে হ্যান্ডওভার করেন ওই সোর্স।

আরো জানা যায়, আকবরকে গ্রেপ্তারে এসপি ফরিদ উদ্দিনের নির্দেশে কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করেন দুই থানার ওসি। তখন কানাইঘাট সীমান্তে সোর্স হিসেবে শাহাব উদ্দিনকে নিয়োগ দেন ওসি শামসোদ্দোহা। শাহাব উদ্দিন স্থানীয় সালেহ আহমদকে এ ব্যাপারে সহযোগীতা করার জন্য বলেন। ডনা এলাকার খাসিয়াদের সাথে রহিমের ভালো সম্পর্ক থাকায় সালেহ আহমদ চুক্তিতে আব্দুর রহিমকে নিয়োগ দেন। কানাইঘাট থানার ওসির পরামর্শক্রমে শাহাব উদ্দিন ও সালেহ আহমদের নির্দেশে আকবরকে খাসিয়া সীমান্তে এনে আব্দুর রহিমের কাছে হ্যান্ডওভার করেন শিলচরে থাকা ওই সোর্স। এরপর আব্দুর রহিম জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন আকবরকে।

ফেসবুকে প্রকাশিত ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি পাহাড়ি ছড়ায় পাথরের উপর আকবর হোসেনকে বসিয়ে রেখে হাত-পা বাঁধছেন কয়েকজন যুবক।

এ সময় চারপাশ ঘিরে রাখেন স্থানীয় কিছু মানুষ। তার পায়ে রশি বাঁধা ছিল। সেই বাঁধন খুলে আকবরের বাহু বাঁধছিলেন যুবকরা।

এসময় ওই যুবকদের একজনের কাছে একটি ফোন আসে ফোনটি সাদা গেঞ্জি পড়া যুবকের কাছে এনে দেন অপর যুবক সাদাগেঞ্জী পড়া ওই যুবক (বাংলাদেশী রহিম উদ্দিন) ওপর প্রান্ত কথা বলা লোককে সালেহ বলে সম্বোধন করেন এবং বলেন ওসি স্যারকে বলে দাও আমি তাকে পাইছি লইয়া রওয়ানা দিরাম। সে আমার সাথে আছে। আমার নেট নাই। এ কথা বলেই লাইন কেটে দেন রহিম উদ্দিন। মুলত রহিম উদ্দিন পুলিশের প্রধান সোর্স সালেহ আহমদকে ফোনে এসব কথা বলেছিলেন।

কানাইঘাট থানার ওসি সামসুদ্দোহা ও ২নং লক্ষীপ্রসাদ ইউপি চেয়ারম্যান জেমস লিও ফার্গুশন নানকার একান্ত প্রচেষ্টায় গ্রেপ্তার করা হয় আকবরকে।

তবে দুই দেশের সীমান্ত আইন ও নানাবিধ জটিলতার কারণে সিলেট জেলা পুলিশ ও কানাইঘাট থানা পুলিশ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews