মুজিববর্ষ উপলক্ষে বড়লেখায় দৃষ্টিনন্দন পাকাঘর পাচ্ছে ৫০ আশ্রয়হীন পরিবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে বড়লেখায় দৃষ্টিনন্দন পাকাঘর পাচ্ছে ৫০ আশ্রয়হীন পরিবার – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কমলগঞ্জে বিনা ধান-২৫ এর পরীক্ষামূলক চাষাবাদে বাম্পার ফলন কমলগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে চা শ্রমিকের আত্মহত্যা কুলাউড়া ইউনিয়ন ওয়াটসান কমিটির ওয়াশ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে প্রাণ গেলো কৃষকের   রাজারহাটে বাল্য বিবাহ বন্ধে লোকসংগীত ও পথ নাটক কুলাউড়া পৌরসভার ২য় মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ বৃহত্তর সিলেট জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু নিহত ওসি মোস্তাফিজের স্মৃতিতে নির্মিত গোলঘর ‘প্রেরণা’র উদ্বোধন করলেন প্রতিমন্ত্রী শফিক চৌধুরী এমপি মনু নদীর চাতলাঘাটে আইন অমান্য করে বালু উত্তোলন : বিপর্যস্ত হচ্ছে পরিবেশ

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বড়লেখায় দৃষ্টিনন্দন পাকাঘর পাচ্ছে ৫০ আশ্রয়হীন পরিবার

  • মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২১

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

বড়লেখায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দৃষ্ঠিনন্দন পাকা ঘর পাচ্ছে আরো ৫০ আশ্রয়হীন পরিবার। আগামী ১০ জানুয়ারী আশ্রয়হীনদের মধ্যে এসব ঘর হস্তান্তরের লক্ষ্যে নির্মাণ কাজ দ্রুত চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান বিভাগ। গত ২৭ ডিসেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এসব পাকা ঘরের নির্মাণ কাজ গুনগত মানসম্মত দেখে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বড়লেখায় সরকারের ৪টি প্রকল্পে ইতিপূর্বে ২৬২ অসচ্ছল ও দুস্থ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকাঘর তৈরী করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এসব পাকা ঘরে বসবাসকারীদের মধ্যে রয়েছেন ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, দিনমজুর, রিকশা চালক, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা ও ঝিয়ের কাজ করা মহিলা। যারা অতীতে কখনও চিন্তাও করেননি পাকা ঘরে বসবাস করবেন।

এরপর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৫০টি ভুমিহীন ও গৃহহীন দিনমজুর, গৃহকর্মী, প্রতিবন্ধী পরিবারকে পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়ার উদ্যোগ নেয় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ। আগামী ১০ জানুয়ারী দৃষ্ঠিনন্দন ঘরগুলো আশ্রয়হীনদের মাঝে হস্তান্তরের লক্ষে নির্মাণ কাজ দ্রুত চলছে। এতে সরকারের ব্যয় হচ্ছে ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সরেজমিনে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপির ভবানীপুর গ্রামে পাশাপাশি ৮টি পাকা ঘরের নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন থাকতে দেখা গেছে। একটি ঘরের উপকারভোগী ছায়াদ আলী জানান, পরের বাড়িতে থেকে দিনমজুরী করে বউ-বাচ্চা নিয়ে দিনাতিপাত করি। নিজের কোন ভুমিও নেই, ঘরও নেই। হঠাৎ একদিন ইউএনও স্যার গাড়ি থামিয়ে জায়গা-জমি ও ঘর নেই জেনে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি নিয়ে অফিসে যেতে বলেন। বিশ্বাস করিনি সরকার আমাকে পাকা ঘর তৈরী করে দিবে। এত সুন্দর পাকা ঘরে বউ-বাচ্চা নিয়ে ঘুমাবো জীবনেও ভাবিনি। দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপির দোয়ালিয়া গ্রামের বৃদ্ধ জমির উদ্দিন জানান, দিনমজুরী করে স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ ভাসমান অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছি। ইউএনও স্যার বাড়িঘর নেই জেনে আমাকে ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। বৃদ্ধ বয়সে নিজের ঘরে মরতে পারবো কল্পনাও করিনি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান জানান, ইউএনও স্যারের সার্বক্ষনিক তদারকিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের প্রত্যেকটি পাকা ঘরের নির্মাণ কাজ মানসম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি স্যার ও জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান স্যার প্রশংসা করেছেন।

ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৫০টি আশ্রয়হীন পরিবার প্রতি ২ শতাংশ খাস ভুমি বন্দোবস্ত প্রদান পূর্ব্বক পাকা গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে তাদেরকে পুনর্বাসনের প্রকল্প নেয়া হয়। ইতিমধ্যে অধিকাংশ ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারী ঘরগুলো আশ্রয়হীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews