ফেঞ্চুগঞ্জে ৩ থেকে মায়ের লাশের সাথে সন্তানদের বসবাস ফেঞ্চুগঞ্জে ৩ থেকে মায়ের লাশের সাথে সন্তানদের বসবাস – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ৩ শীর্ষনেতা বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন বড়লেখায় যুব ফোরামের অর্ন্তভূক্তিকরণ সভা রাজারহাটে শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ ওসমানীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্যানেটারী মিস্ত্রির মৃত্যু বড়লেখায় গণশুনানি : গ্রাহক হয়রানীর দায়ে পল্লীবিদ্যুত আজিমগঞ্জ কেন্দ্রের ইনচার্জকে বদলির নির্দেশ কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেললাইনের পাশে অবৈধ পশুর হাট কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুর রহমানের সমর্থনে মতবিনিময় কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেহার বেগমের মতবিনিময় বড়লেখায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির ঈদ পুর্নমিলনী

ফেঞ্চুগঞ্জে ৩ থেকে মায়ের লাশের সাথে সন্তানদের বসবাস

  • মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১

এইবেলা, সিলেট ::

সম্পদের জন্য চাচারা যদি মারধর করে বের করে দেন, এ জন্য মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি সন্তানরা কাউকে জানাননি। এ জন্য মৃত মায়ের মরদেহ তিন দিন ঘরে রেখেই চলছিল তাদের জীবনযাপন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্স চালক টাকা চাইতে বাড়িতে গেলে ঘরে মরদেহ রাখার ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরে বাড়ির আত্মীয়স্বজনরা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এমন ঘটনা ঘটেছে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদরের রাজনপুর গ্রামে। ঘটনাটি জানাজানির পর এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্বজন ও স্থানীয় জনতার সহায়তায় দাফন করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা সদরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ছানা মিয়া গত ২ জানুয়ারি মারা যান। স্ত্রীর সঙ্গে তেমন বনিবনা ছিল না। যে কারণে ছানা মিয়ার স্ত্রী চল্লিশোর্ধ জেসমিন বেগম এক ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে সিলেট নগরীতে বসবাস করতেন।

অসুস্থ অবস্থায় গত শনিবার নগরীর উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

ওই দিন গভীর রাত ৩টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান ছেলেমেয়েরা। এর পর থেকেই তারা ঘরবন্দি ছিলেন। বাড়ির আশপাশের লোকজনও জানতেন না ঘরের ভেতর মরদেহ রাখা!

স্থানীয়রা আরও বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে অ্যাম্বুলেন্সচালক টাকা চাইতে বাড়িতে গেলে ঘরে মরদেহ রাখার ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরে বাড়ির আত্মীয়স্বজনরা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

বাড়ির লোকজন জানান, সাংসারিক জীবনে ছানা মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রীর দূরত্ব থাকলেও প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদ বিক্রি করে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ দিয়ে গেছেন। কিন্তু তারাও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারেননি। আর মরদেহের সঙ্গে একই ঘরে বসবাসের বিষয়টি সন্তানদের মানসিক সমস্যা হিসেবে দেখছেন তারা। কেননা তারাও জানতেন ঘরে লোকজন আছে। কিন্তু ডাকাডাকি করলেও জবাব দিতেন, কিন্তু দরজা খুলতেন না। এমনকি বাবার মৃত্যুর পর মরদেহ দেখতেও আসেননি স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা।

এ ঘটনার পর মৃতের ছেলে সনি, মেয়ে সুমা, উমা ও ইমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারা পুলিশকে জানায়, সাংসারিক জীবনে তার বাবা-মায়ের মধ্যে দূরত্ব ছিল। বাপ-চাচারা ৫ ভাই।

বাবা আগেই মারা গেছেন। মাও মারা গেছেন। সম্পদের জন্য চাচারা যদি মারধর করে বের করে দেন, এ জন্য তারা মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি কাউকে জানাননি। এমনকি দাফন করতে না পারায় মরদেহ ঘরে রেখে দেন।

ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি শাফায়াত হোসেন  বলেন, ওই নারীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের দেওয়া মৃত্যুসনদও রয়েছে। তবে মৃতের সঙ্গে সন্তানদের ঘুমানোর বিষয়টি অস্বাভাবিক।

যদিও তারা সুস্থ আছেন। মানসিক সমস্যার কারণে তারা এমনটি করতে পেরেছে। এর পর রাতে পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনার পর মরদেহ দাফন করা হয়। আর স্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews