খসড়া সুপারিশ বাতিলের দাবিতে কমলগঞ্জে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সংবাদ সম্মেলন  খসড়া সুপারিশ বাতিলের দাবিতে কমলগঞ্জে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সংবাদ সম্মেলন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা কুড়িগ্রামে লোকসংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে শতভূজা বাসন্তী পূজা সমাপ্ত কমলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মইনুল ইসলাম সবুজের মতবিনিময় কুলাউড়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বড়লেখায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ও প্রদর্শনী বড়লেখায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ বড়লেখায় আমেরিকা প্রবাসী বিএনপি নেতাকে সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী কুলাউড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজু’র মতবিনিময়

 খসড়া সুপারিশ বাতিলের দাবিতে কমলগঞ্জে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সংবাদ সম্মেলন

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১

কমলগঞ্জ  প্রতিনিধি ::

নুন্যতম মুজুরি বোর্ড কর্তৃক চা শ্রমিকদের জন্য খসড়া সুপারিশ বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তর্গত মনু ধলই ভ্যালীর উদ্যোগে উপজেলা চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মনু ধলই ভ্যালীর সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা। এ সময় ভ্যালীর সহ-সভাপতি গায়ত্রী রাজভর, চা শ্রমিক নেতা সীতারাম বীন, মন্টু অলমিক, রাজিব কৈরী, প্রদীপ পালসহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে খসড়া গেজেট প্রত্যাখ্যান ও বাতিলপূর্ব্বক শিল্প ও চা শ্রমিক বান্ধব গেজেট প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যকালে শ্রমিক নেতারা ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে-চা শ্রমিকদের দৈ;কি মজুরি ৩০০ টাকা মজুরি, খসড়া গেজেটের ৭ ধারা বাতিল, তফশীল “খ” এর ক্রমিক নং ৩ (শিক্ষানবিস) বাতিল, বৈশাখী ভাতা প্রদান, শ্রম আইন অনুযায়ী প্রসুতি কল্যাণ ছুটি ৬ মাস করা, ৬০ দিনের পূর্ণ মজুরির সম পরিমান টাকা উৎসব বোনাস হিসেবে প্রদান, গ্র্যাচুয়েটি, গ্রুপ বীমা ও ক্যাজুয়েল লিভ প্রদানের দাবি জানানো হয়।

চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানান, চা শ্রমিকরা জন্ম থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভক্ত। তারা সব সময় নৌকা মার্কার সরকারকে ভোট দিয়ে আসছে। অথচ নৌকা মার্কার সরকারের ভাবমুর্ত্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এখন গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। মালিক পক্ষের ব্যক্তিগত স্বার্থকে হাসিল করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ রকম একতরফা গেজেট পায়তারনা চলছে। নিম্নতম মজুরি বোর্ডে চা শ্রমিকদের মজুরী ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা লিপিবদ্ধের ক্ষেত্রে মানসম্মত নয় বিধায় চা শ্রমিকরা খসড়া গেজেট প্রত্যাখ্যান ও বাতিলপূর্ব্বক শিল্প ও চা শ্রমিক বান্ধব গেজেট প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানান, প্রকৃতপক্ষে চা শিল্পের বহুবছরের প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশের চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের চা সংসদের প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়। খসড়া চুক্তিতে উল্লেখ আছে, প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়, সেটা সঠিক নয়। তারা আরো বলেন, প্রতি দুই বছর স্থলে তিন বছর অন্তর অন্তর চুক্তি হলে শক্তিশালী মালিক পক্ষের দ্বারা অপেক্ষাকৃত মজুরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারে সম্ভাবনা প্রবল। তাই পূর্বের রীতি অনুযায়ী চা শ্রমিকদের শিক্ষানবিস কাল কোন সময় ছিল না আমরা এখনো চাইনা সুপারিশ অনুযায়ী মজুরী বৃদ্ধি বর্তমানে চা শ্রমিকরা ১২০ টাকা মজুরী পাচ্ছে তাছাড়া চা ইউনিয়ন ২০১৯ সালে পহেলা জানুয়ারিতে ১২০ টাকা মজুরী কার্যকর করেছে। আমরা যাহা সঠিক পাচ্ছি এমতাবস্থায় আমরা আড়াই বছর যাবত আমরা যে ১২০ টাকা মজুরী পাচ্ছি, সেই ১২০ টাকা আড়াইা বছর পরে মজুরী বোর্ড কর্তৃক ঘোষণা করার কোন মানে হয় না।

কিন্তু বর্তমান বিশ্ব বাজারে খাদ্যদ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি থাকায় আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা শ্রমিকদের লেখাপড়া করা খুবই কষ্টকর হচ্ছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এ সময় তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়াাসহ মজুরি বোর্ডের কাছে নুন্যতম ৩০০ টাকা মজুরী প্রদানের জন্য দাবি করেন। দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews