রৌমারীতে অপহরণ ৩ মাস ২০ দিন পর মরদেহ উদ্ধার : ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার ৩ রৌমারীতে অপহরণ ৩ মাস ২০ দিন পর মরদেহ উদ্ধার : ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার ৩ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
 স্পেনের বার্সেলোনায় বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার সম্পন্ন বড়লেখা সমাজসেবা অফিসের ‘সমাজকর্মী’ সুব্রত বিশ্বাসের পরলোকগমন : শোক প্রকাশ কুলাউড়ায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উপশাখার উদ্বোধন জুড়ী ট্র্যাজেডি : সোনিয়ার মৃত্যুতে বেঁচে রইলো না আর কেউ কুলাউড়ায় এনার ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা আত্রাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত বড়লেখায় স্বাধীনতা দিবসে ২শ’ দুস্থ পরিবারে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী দিল বিজিবি জুড়ীতে চালঘেষা বিদ্যুৎ লাইন শেষ করে দিল একটি পরিবার, অগ্নিদগ্ধ শিশু হাসপাতালে কাতরাচ্ছে বিজিবি শ্রীমঙ্গলের পক্ষ থেকে ৩শ পরিবারের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কমলগঞ্জে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

রৌমারীতে অপহরণ ৩ মাস ২০ দিন পর মরদেহ উদ্ধার : ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার ৩

  • শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিরোধের জেরে শালু মিয়া (৩৫) কে অপহরণের ৩ মাস ২০ দিন পর মাটিতে পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (0২ জুন) বিকেলে উপজেলার বাঘেরহাটের দক্ষিন পাশের টেকানী গ্রামের জিন্জিরাম নদীর পাড় থেকে মাটি খুড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে শালু মিয়া (৩৫) কে অপহরণ করে গুম করার অভিযোগ ওঠে। পরে ২৯ এপ্রিল স্বামী শালু মিয়াকে অপহরণের অভিযোগ এনে ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, খয়বর আলীসহ অজ্ঞাত আরও তিন জনকে আসামি করে রৌমারী থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন স্ত্রী রেজেকা খাতুন।

এ ঘটনায় গত ৩০ মে রাতে মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে রৌমারী থানায় এনে ৩১ মে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই ইউনিয়নের চর কাউয়ারচর (বাঘের হাট) গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। হত্যার শিকার শালু মিয়া (৩৫) একই ইউনিয়নের কাউয়ারচর গ্রামের মৃত চাঁন মন্ডলের ছেলে।

এরপর ঘটনার সুত্র ধরে গত বুধবার (0১ জুন) ঢাকায় অভিযান চালিয়ে শালু মিয়া হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খয়বর আলী ও জিয়াকে গ্রেফতার করে রৌমারীতে এনে বৃহস্পতিবার (০২জুন) শালু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত খয়বর আলী (৩২) রৌমারী উপজেলার ঝগড়ার চরের ছলে হকের পুত্র এবং জিয়া (৫০) একই উপজেলার কাউয়ার চরের তালেব এর পুত্র।

হত্যার শিকার শালু মিয়ার স্ত্রী রেজেকা খাতুন বলেন, আমার স্বামি শালু মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের সাথে ব্যবসায়ীক বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষয়টি মিমাংসার জন্য জাকির হোসেন আমার স্বামীকে ফোনে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের স্লুইটগেট এলাকায় আসতে বলেন। আমার স্বামি তার ফোন পেয়ে দ্রুত উক্তস্থানে চলে যান। আমিও তার পিছু পিছু সেখানে যাই। গিয়ে দেখি জাকির হোসেন, খয়বর আলীসহ অজ্ঞাত আরও দুই তিন জন সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন। তাদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার স্বামীকে জোর পূর্বক তারা তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে আর খুজে পাওয়া যায় না। পরে তারা নানা ধরণের টালবাহানা করতে থাকেন। তারা তাকে অপহরণের পর গুম করেছে।

রৌমারী থানায় ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, গত ৩০ মে মামলার প্রধান আসামী ইউপি সদস্য জাকির হোসেনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানোর পর বুধবার (০১ জুন) ঢাকায় অভিযান চালিয়ে খয়বর আলী ও জিয়াকে গ্রেফতার করে রৌমারীতে এনে তাদের দেয়া তথ্যমতে শালু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews