বড়লেখায় মৃত গরুর মাংস বিক্রি : মাটিচাপার নির্দেশ ভ্রাম্যমাণ আদালতের বড়লেখায় মৃত গরুর মাংস বিক্রি : মাটিচাপার নির্দেশ ভ্রাম্যমাণ আদালতের – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বার্সেলোনায় সীফুড এক্সপো গ্লোবালে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ৩ শীর্ষনেতা বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন বড়লেখায় যুব ফোরামের অর্ন্তভূক্তিকরণ সভা রাজারহাটে শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ ওসমানীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্যানেটারী মিস্ত্রির মৃত্যু বড়লেখায় গণশুনানি : গ্রাহক হয়রানীর দায়ে পল্লীবিদ্যুত আজিমগঞ্জ কেন্দ্রের ইনচার্জকে বদলির নির্দেশ কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেললাইনের পাশে অবৈধ পশুর হাট কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুর রহমানের সমর্থনে মতবিনিময় কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেহার বেগমের মতবিনিময়

বড়লেখায় মৃত গরুর মাংস বিক্রি : মাটিচাপার নির্দেশ ভ্রাম্যমাণ আদালতের

  • রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২

বড়লেখা প্রতিনিধি:

বড়লেখা উপজেলার রতুলী বাজারে ‘মামা-ভাগ্না’ নামক খসাইখানায় রোববার সকালে স্থানীয়রা মৃত গরুর মাংস বিক্রিকালে ব্যাপক মাংস আটক করেন। দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে ওই মাংসগুলো মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন।

এসময় উপজেলা প্রাণীসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. রেদুয়ানুল হক, উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আব্দুস সহিদ, রতুলী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম সাজু, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছয়দুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সকাল থেকেই অভিযান চালানো হলেও খবর পেয়েও ঘটনাস্থলে যাননি স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আফসার আলী। অভিযোগ রয়েছে তাকে মাসোয়ারা দিয়ে আসাধুরা লাইসেন্স ছাড়াই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দোকান খুলে মাংস বিক্রি করছে। অনেকেই মৃত, অর্ধ মৃত ও অসুস্থ গশু জবাই করে বিক্রি করছে। অভিযোগ দিলেও স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আফসার আলী থাকেন নির্বাক।

জানা গেছে, জনৈক আব্দুল আজিজ উপজেলার রতুলী বাজারে দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স ছাড়াই খসাইখানা খুলে মাংস বিক্রি করছেন। প্রায়ই পার্শবর্তী বিয়ানীবাজার উপজেলার বারইগ্রাম এলাকা থেকে তিনি মৃত গরু জবাই করে কৃত্রিম রক্ত মিশিয়ে মাংস বিক্রি করেন বলে অভিযোগ উঠে। রোববার সকালে তিনি বারইগ্রাম এলাকা থেকে একটি মৃত গরু জবাই করে রতুলী বাজারে বিক্রির জন্য মাংস নিয়ে আসেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজন তা আটক করেন। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলামের নির্দেশে সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. রেদুয়ানুল হক ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাহাঙ্গীর হোসাইনের নির্দেশে উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আব্দুস সহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাংস থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হতে দেখেন। প্রাথমিক পরীক্ষায় নিয়ম বহির্ভুত জবাই ও অবৈধভাবে মাংস বিক্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হন। দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন ভ্রাম্যামাণ আদালত চালিয়ে জব্দ পচা মাংস মাটিচাপা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, লাইসেন্স ছাড়া পশুর মাংস বিক্রির নিয়ম নেই। তাছাড়া পশু জবাইর আগে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাকে দিয়ে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ছাড়পত্র নিতে হয়। এক জেলায় জবাই করে অন্য জেলায় নিয়ে মাংস বিক্রি সম্পুর্ণ অবৈধ। এ মাংসের দোকানের লাইসেন্সও ছিল না। স্থানীয় লোকজন মৃত গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ করায় এবং প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার প্রাথমিক পরীক্ষায় মৃত মনে হওয়ায় মাংসগুলো মাটিচাপা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দোকানের মালিক পক্ষ সটকে পড়ায় জরিমানা করা যায়নি। তবে পরবর্তীতে মোবাইল কোর্ট করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews