শ্রীমঙ্গলে সম্পদ ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইনী সহায়তা চায় সংখ্যালঘু পরিবার শ্রীমঙ্গলে সম্পদ ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইনী সহায়তা চায় সংখ্যালঘু পরিবার – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা কুড়িগ্রামে লোকসংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে শতভূজা বাসন্তী পূজা সমাপ্ত কমলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মইনুল ইসলাম সবুজের মতবিনিময় কুলাউড়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বড়লেখায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ও প্রদর্শনী বড়লেখায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ বড়লেখায় আমেরিকা প্রবাসী বিএনপি নেতাকে সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী কুলাউড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজু’র মতবিনিময়

শ্রীমঙ্গলে সম্পদ ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইনী সহায়তা চায় সংখ্যালঘু পরিবার

  • সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২

সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সরকারী নিয়মকানুন মেলে বৈধ্য ভাবে জলমহাল লীজ বন্দোবস্ত নিয়ে মাছ ধড়তে পারছেনা বৈধ্য লিজগ্রহীতা মনোরঞ্জন বিশ^াস। একই সাথে তার নিজের মৌরশী জমিতের বিভিন্ন টালবাহানা দিয়ে হুমকি ধামকি সহ মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে খোরশেদ আলমগং নামের এক স্থানীয় প্রভাবশালী। তাদের এই অন্যায় অনিয়মের বাধা দিতে চাইলে দলবেধে শুরু করে মারপিট, ভাংচুরসহ প্রাণনাশের হুমকি ধামকি। বিচার চেয়েও পাচ্ছেন না এর সুষ্ট সমাধান। বিপাকে পড়েছেন এক অসহায় সংখ্যালঘু পরিবার।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের বিপুল রঞ্জন চৌধুরী ও মহরম খান মিলনায়তনের এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের বরুনা গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন বিশ্বাস লিখিত বক্তব্য জানান, তিনি একজন সংখ্যালঘু নিরিহ হিন্দু মানুষ। উপজেলার বরুনা এলাকার হাইল হাওরের বয়রা বিলে সরকারী জলমহাল এবং ব্যক্তি মালিকানায় প্রায় ১০৬ একর জমিতে মাছ চাষ করে আসছেন। এর মধ্যে স্থানীয় ভাবে অন্নপূর্ণা মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে ডিসি অফিস থেকে বৈধ্য ভাবে জলমহাল ইজারা রয়েছে প্রায় ৯২ একর। বাকি জমি ব্যক্তি মালিকানা।

মৌলভীবাজার আটঘর এলাকার চিহ্নিত মামলাবাজ শেখ খোরশেদ আলমের মদদে বরুনা গ্রামের কলা মিয়া, দিলু মিয়া, মামুন মিয়া, নুরুল হক, তবারক মিয়াসহ কতিপয় ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এসব জল মহাল থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় জোর পূর্বক মাছ লুটপাট ও সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি করে আসছে। প্রতিবাদ করলে তারা প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে করে গত কয়েক বছরে প্রায় ৭-৮ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।

এনিয়ে গত ৮ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান এর মধ্যস্থতায় সেখানে পাহারাদার নিয়োগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় গত ২৫ ডিসেম্বর উল্লেখিত দুর্বৃত্বরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জলমহালের নিযুক্ত পাহারাদার ও লোকজনদের ঘেরাও করে বেধম মারপিট করে। এসময় তারা জলমহাল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দুইটি মাছ বোঝাই নৌকা জোর পূর্বক নিয়ে যায়। এনিয়ে কোথাও কোন প্রতিকার মিলছে না। সংবাদ সম্মেলনে তিনি একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভুক্ত হওয়ায় তার সম্পদ ও পরিবারের নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি জাহাঙ্গির হোসেন সরদার বলেন, গতকাল রাতে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, বে-আইনী ভাবে কেই মাছ ধরলে আমরা মৎস কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলে জানান।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews