কুলাউড়ার গাজিপুর চা-বাগান- শ্রমিক গৃহ নির্মাণের নামে টিলা কাটার অভিযোগ কুলাউড়ার গাজিপুর চা-বাগান- শ্রমিক গৃহ নির্মাণের নামে টিলা কাটার অভিযোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা কুড়িগ্রামে লোকসংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে শতভূজা বাসন্তী পূজা সমাপ্ত কমলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মইনুল ইসলাম সবুজের মতবিনিময় কুলাউড়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বড়লেখায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ও প্রদর্শনী বড়লেখায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ বড়লেখায় আমেরিকা প্রবাসী বিএনপি নেতাকে সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী কুলাউড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজু’র মতবিনিময়

কুলাউড়ার গাজিপুর চা-বাগান- শ্রমিক গৃহ নির্মাণের নামে টিলা কাটার অভিযোগ

  • মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার গাজিপুর চা-বাগানে শ্রমিক গৃহ নির্মাণের নামে টিলাকাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহ থেকে এমন কাজটি করছে বাগান কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ অধিদপ্তর বা স্থানীয় প্রশাসন এব্যাপাওে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বাগান কর্তৃপক্ষের অগোচরেই এমন দুঃসাহসিক কাজটি করেছেন বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অশোক কুমার গোয়ালা বাবলু এবং বাগান হাসপাতালের ড্রেসার দ্বীপ নারায়ণ গোয়ালা।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬ (খ) ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন, মোচন বা স্থর পরিবর্তন করতে পারবে না। তবে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে (যেখানে পরিবেশের অধিকতর ক্ষতি হবে না) অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে পাহাড় বা টিলা কাটা যেতে পারে।

গাজিপুর চা-বাগান মেইন ফটকের উত্তর পাশে স্টাফ কোয়ার্টারের পূর্বে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১০-১২ জন বাগান শ্রমিক টিলা কাটার কাজ করছেন। আলাপকালে মাটি কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, এখানে শ্রমিক গৃহ নির্মাণ করা হবে। যার কারণে বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অশোক কুমার গোয়ালা বাবলু এবং বাগান হাসপাতালের ড্রেসার দ্বীপ নারায়ণ গোয়ালা তাদেরকে দিয়ে কাজটি করাচ্ছেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ১০-১২ জন শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটা হলেও কেউ বাঁধা দেয়নি। স্থানীয় কিছু লোক মৌখিকভাবে বাঁধা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। সমতল ভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে টিলাটিকে। বাগানের কয়েকজন শ্রমিক (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) জানান, যাঁরা মাটি কাটাচ্ছেন, তাঁরা বাগানের প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে গাজিপুর চা-বাগান হাসপাতালের ড্রেসার দ্বীপ নারায়ণ গোয়ালা মুঠোফোনে জানান, আমার ছোট ভাই জায়গাটি বাগান সভাপতি বাবলু গোয়ালার কাছ থেকে নিয়েছে। তাই সভাপতির অনুমতি নিয়েই টিলাটি একটু ড্রেসিং করে নিচ্ছি। যাতে ঘর বানিয়ে বসবাস করা যায়। এখন বাগান ম্যানেজমেন্ট আপত্তি করায় কাজ বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে গাজিপুর চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অশোক কুমার গোয়ালা বাবলু মুঠোফোনে জানান, শ্রমিকের ঘর তৈরি করার জন্য টিলা ড্রেসিং করা হচ্ছে। অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, এরকমতো অহরহ ঘর হচ্ছে, কেউতো কোনদিন অনুমতি নেয়নি।

এবিষয়ে গাজিপুর চা-বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক জাবের আলী জানান, টিলা কাটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ, সেটা আমরাও জানি। বাগান কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে তারা দু:সাহসিক কাজটি করে। আমার খবর পেয়ে সাথে সাথে কাজটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি এবং তাদেরকে শোকজ করেছি।##

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews