নাগেশ্বরীতে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালে অবাধে মাছ শিকার  নাগেশ্বরীতে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালে অবাধে মাছ শিকার  – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন

নাগেশ্বরীতে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালে অবাধে মাছ শিকার 

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এসব জালে অবাধে ছোট মাছ ধরা হচ্ছে। ফলে মাছের বংশ বিস্তারেও প্রভাব ফেলছে। এতে করে দেশি মাছ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছে এলাকাবাসীর।
উপজেলার সর্বত্রই মাছের মরণ ফাঁদ চায়না দুয়ারি জালের অবাধ ব্যবহার চলছে। কারেন্ট জালের থেকেও ভয়ংকর জাল এই চায়না দুয়ারি। লোহার রডের গোলাকার বা চতুর্ভুজ আকৃতির কাঠামোর চারপাশে চায়না জাল দিয়ে ঘিরে এই চায়না দুয়ারি নতুন ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। চায়না দুয়ারি জাল ৫০ থেকে ৮০ হাত পর্যন্ত লম্বা হয়।
শুধু দেশি নানা জাতীয় ছোট মাছ নয় বরং এই জালে আটকা পড়ে সব প্রজাতির মাছ। স্বল্প ব্যয়ে এবং অল্প পরিশ্রমে অধিক আয়ের উৎস হওয়ায় জেলেদের কাছে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই চায়না দুয়ারি জাল।
উপজেলা সদরের সব বাজারেই যেমন চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে ধরা ছোট ছোট মাছ বিক্রি হচ্ছে। ঠিক তেমনি প্রশাসনের নাকের ডগায় বিক্রি করা হচ্ছে এই চায়না দুয়ারি।
বল্লভেরখাষ ইউনিয়নের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন,নাগেশ্বরী বাজারেই বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় চায়না দুয়ারি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকতার তদারকি না থাকায় দুধকুমার,ফুলকুমার,গঙ্গাধর, চড়াইখালি, পাগলির ব্রীজ,মাদাইখাল,খোরা ডারা,কাশিল ডারা,শতিবাড়ীর দোলাসহ উপজেলা ছোট বড় বিভিন্ন নদীতে অবাধে ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল।
বৃষ্টি হলেই এক ধরনের মাছ শিকারি চায়না দুয়ারি জাল নিয়ে নেমে পড়েন। তারা নদী-পুকুর, জলাশয় ও নিচু জমিতে এই জাল বসিয়ে মাছ ধরেন। স্থানীয়রা জানায় এই জাল ব্যবহারের ফলে দেশি মাছ বিলুপ্তির পথে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews