কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:: ঘুর্ণিঝড় এর প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া রাতভর বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে চলতি মৌসুমের আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষক।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আগাম জাতের কিছু ধান পাকতে শুরু করেছে, বাকি ধানের সবে মাত্র শীষ বের হয়েছে। কৃষকের অতি কষ্টের ফসল বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় মাটির সাথে নুয়ে পড়েছে।
ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে সোমবার দুপুর থেকে ভুরুঙ্গামারীতে বৃষ্টি শুরু হয়। যা মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় উপজেলার দশ ইউনিয়নের কমপক্ষে শতাধিক একর জমির আমন ধানগাছ বাতাসে মাটিতে শুয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে কিছু জমিতে পানিও জমে যায়। মাটিতে নুয়ে পড়া ধানের শীষ পচনের হাত থেকে বাঁচাতে তিন-চার গোছা ধান গাছ একত্র করে ঝুঁটির মতো করে বেঁধে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন কৃষকরা।
উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়ন মইদাম গ্রামের মাহবুবুর রহমান মামুন জানান, বৃষ্টি আর বাতাসে তার দেড় বিঘা জমির ধান মাটির সাথে শুয়ে পড়েছে। ধানের সবে মাত্র শীষ বের হয়েছে। জানিনা ফসল ঘরে তুলতে পারবো কিনা।
পাইকেরছড়া ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রায় সোয়া বিঘা জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। ধানের শীষ পচনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কয়েক গোছা একত্র করে বেঁধে সোজা করে দিচ্ছি।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে ১৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা ছাড়িয়ে কৃষক ১৬ হাজার ৮৫৩ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আপেল মাহমুদ জানান, বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় আমন ধানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত ২২ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ক্ষয় ক্ষতি কমাতে ক্ষেতের আইল কেটে পানি বের করে দেয়া ও গোছা করে ধান বেঁধে দেয়াসহ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in
Leave a Reply