সারাদেশে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ৮৩ শতাংশই শিশু – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

সারাদেশে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ৮৩ শতাংশই শিশু

  • বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১

Manual3 Ad Code

এইবেলা ডেস্ক ::

Manual2 Ad Code

দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানিয়েছে গণমাধ্যম উন্নয়ন ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সমষ্টি’।

বৃহস্পতিবার পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে গণমাধ্যমের করণীয় শীর্ষক ওয়েবিনার থেকে এ তথ্য জানানো হয়। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু নিয়ে সমষ্টির সংবাদ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনায় সহযোগিতা করে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই)।

 ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যম ও স্থানীয় অনলাইন পোর্টালে পানিতে ডুবে মৃত্যু নিয়ে মোট ৫০৯টি ঘটনা উঠে এসেছে। এসব ঘটনায় সারাদেশে ৭৩৫ শিশুসহ মোট ৮৮৫ জন ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা যায়। দেশে জাতীয়ভাবে পানিতে ডুবে মৃত্যু নিয়ে কোনো তথ্যব্যবস্থা না থাকায় এ সংখ্যা আরও বেশি হবে।

সুষ্পষ্ট পরিসংখ্যান তুলে ধরে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটি পানিতে ডুবে মৃত্যুর কয়েকটি পর্যায় নিয়ে ব্যাখ্যা করেছে। সেগুলো হলো:

Manual8 Ad Code

কোথায় কত মৃত্যু
পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে ঢাকা বিভাগে, ১৯৩ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৭২ জন, রংপুরে ১৪১, রাজশাহীতে ১১০, ময়মনসিংহে ১০০, বরিশালে ৬৬ ও খুলনা বিভাগে ৬১ জন মারা যায়। এ সময়ে সবচেয়ে কম মৃত্যু ছিল সিলেট বিভাগে, ৪২ জন।

Manual2 Ad Code

বয়স বিবেচনায় পানিতে ডুবে মৃতদের ৮৩ শতাংশই শিশু। চার বছর বা কম বয়সী ৩১০ জন, ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী ২৮৪ জন, ৯-১৪ বছরের ১১০ জন এবং ১৫-১৮ বছরের ৩১ জন। ১৫০ জনের বয়স ১৮ বছরের বেশি।

দিনের কখন পানিতে ডুবে প্রাণহানির ঘটনা বেশি
পানিতে ডুবে দিনের প্রথম ভাগে অর্থাৎ সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ৩৫৫ জন এবং দুপুর থেকে সন্ধ্যার আগে ৩৫৬ জন মারা যায়। এছাড়া সন্ধ্যায় ১৪৬ জন মারা যায়। ১৭ জন রাতের বেলায় পানিতে ডোবে। ১১ জনের মৃত্যুর সময় প্রকাশিত সংবাদ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

Manual2 Ad Code

কোন মাসে বেশি মৃত্যু
২০২০ সালের জুন থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫৭৭ জন মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে আগস্ট মাসে, ১৭১ জন। জুন মাসে ৯১ জন, জুলাই মাসে ১৬৩ জন, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে যথাক্রমে ৭৪ ও ৭৮ জন মারা যায়।

পানিতে ডুবে মৃত্যুর কারণ
পরিবারের সদস্যদের যথাযথ নজরদারি না থাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পানিতে ডোবার ঘটনা ঘটে। ৭০০ জন বড়দের অগোচরে বাড়ি সংলগ্ন পুকুর বা অন্য জলাশয়ে চলে যায় এবং দুর্ঘটনার শিকার হয়। ১১৬ জন মারা যায় নৌযান দুর্ঘটনায়। পানিতে ডুবে মৃতদের মধ্যে ৫৫ জন বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে।

পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে সুপারিশ
২০১৭ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘প্রিভেন্টিং ড্রাওনিং: অ্যান ইমপ্লিমেন্টেশন গাইড’ এ স্থানীয় পর্যায়ের মানুষজনকে সম্পৃক্ত করে দিবাযতœ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে। এছাড়া পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধে পারিবারিক পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি ও জাতীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করার উপরও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠান সুপারিশ করেছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!