বিশেষ প্রতিনিধি :: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের কর্মহীন বেকার-যুবকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। শনিবার (১০ এপ্রিল ২০২১) বিকেলে বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তারা এ দাবি জানান। যুবমৈত্রীর সারা দেশের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা এই আলোচনা সভায় অংশ নেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাতি রাশেদ খান মেনন এমপি। তিনি বলেন, করোনাকালে সব থেকে বেকায়দা ও ঝুঁকির মধ্যে আছে দেশের যুবকেরা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যুবকদের আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। কিন্তু হতাশাজনক- আক্রান্ত বিবেচনায় এখনো যুবকদের পুরোপুরিভাবে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে তাদের অনেকেই কর্মহীন থাকায় পরেছেন চরম আর্থিক সংকটে। এমন এক পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষে এসব যুবকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা না করা গেলে সামনে অনেক বড় বিপদ আসতে পারে।
সভায় যুবমৈত্রীর নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেনন বলেন, ‘এখন আপনাদের লড়াই দুইটি। একটি করোনাকালে গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ানো, অপরটি হেফাজত ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিহত করা। করোনার এমন দু:সময়ে দেশের বেকার যুবকদের আস্থা যুবমৈত্রীর ওপর। সুতরাং যুবমৈত্রীকে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ তাদের মধ্যে করোনা সচেনতাও তৈরী করতে হবে। এসবের পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে; হেফাজতের মতো উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীদের প্রতি। তাদের যেকোন অপতৎপরতা ও সহিংসতা প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। তিনি বলেন, এদেশে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে। তারা সে সময় সাম্প্রদায়িকতার যে বীজ বপন করেছিল; সেটিই আজকে হেফাজত হয়ে ফুটে বেরিয়ে এসেছে। অতিতে তাদের সাথে অনেকবার আপোসের ঘটনা ঘটেছে, তবে ফলাফল কী তা আজ খুবই স্পষ্ট। তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাদশা বলেন, ‘একা একা লড়াই করে কখনও কোনো যুদ্ধে যেতা যায়না। এর জন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। যেহেতু লড়াইটাই স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে; সুতরাং স্বাধীনতার পক্ষে সকল শক্তি একত্রিত না হলে এ লড়াই বেগবান করা সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দল যত ছোট হোক না কেন; সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে এদেশে কোনদিনই উগ্র সাম্প্রদায়িকতার স্থান হবে না।
বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্সের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- যুবমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, মনিরুদ্দীন পান্না, আহাদ মিনার, কাইসার আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস, কোষাধ্যক্ষ কাজী মাহামুদুল হক সেনা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান। সভা পরিচালনা করেন যুবমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ সানী।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085
Leave a Reply