মো: বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সদর প্রতিনিধি :: স্কুলগামী ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি আহিদুলসহ আরো তিনজন আসামীকে পুলিশ ৮দিন পেরিয়ে গেলেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এতে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । তারা অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
গত ১২ জুন (রোববার) কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ২নং হলোখানা ইউনিয়নের চরসুভারকুটি গ্রামে সাজেনার মোড় এলাকায় বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় এক ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটে ও মাদকসেবী কয়েকজন যুবক প্রতিবাদকারী জামিলের উপর হামলা ও মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে।
আহত জামিলের বাবা সদর থানায় ঐ দিনে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট গুরুতর জখম ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও নারী শালীনতার অমর্যাদা করার অপরাধে একটি মামলা দায়ের করেন; যার জিআর নং- ২২৯/২০২২(কুড়ি)। উক্ত মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলোখানার চিহ্নিত মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আহিদুল (১৯), আনিছুর (২০), মাসুম (২২), আকাশ (২০), জাহিদ(২১)সহ বেশ কয়েকজন যুবক প্রায় সময় মাদক সেবন করে এলাকার স্কুলগামী ছাত্রীকে রাস্তায় উত্ত্যক্ত করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন বিবাদীগনকে একাধিকবার বাধা নিষেধ করলে বিবাদীগন সকলের সাথে মারমুখী আচরণ করে।
এমনিভাবে চলে আসাকালে গত ১২ জুন চরসুভারকুটি গ্রামে সাজেনার মোড় এলাকায় স্কুলগামী এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করছে। আহত জামিল বিবাদীগনকে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতে বাধা নিষেধ করে এবং স্কুলগামী মেয়েরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
বিবাদীগন মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতে না পেরে জামিলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং তার উপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে । একপর্যায়ে ধারালো ছোড়া দিয়ে জামিলকে হত্যার উদ্দেশ্য পেটেে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে জামিলের দুই বন্ধু তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেয়। সেখানে ৩দিন চিকিৎসার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত জামিলের বাবা বলেন, এ ঘটনায় আহিদুলকে প্রধান ও চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে । এ পর্যন্ত মামলায় ২আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু প্রধান আসামি আহিদুল ও আনিছুরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, প্রধান আসামির ভাই উকিল মিযা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
জামিলের মা বলেন, থানায় মামলা করার ৮দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আসামিদের সাথে জড়িত সকলের বিচার চাই।
ঘটনার সাথে জরিত প্রধান আসামিসহ সকলকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোঃ শাহরিয়ার বলেন, এ ঘটনার পর আমরা এজাহারভুক্ত ২আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। আশা করছি প্রধান আসামিসহ সকলকে খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply