এইবেলা, কুলাউড়া:: কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের কাজিরগাঁও গ্রামের মৃত খলিল মিয়ার মেয়ে সৌদি আরব প্রবাসী সিমা বেগমের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় হবিগঞ্জ জেলার খোয়াইমুখ রোড, চৌধুরী বাজারের নাজমুল হোসেনের ছেলে মোত্তাকিন হোসেন সাবিদের। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম-ভালবাসা বিয়েতে গড়ায়। বিয়ের কিছুদিন পর সিমা বেগমের প্রবাসের উপার্জিত সমুদয় টাকা পয়সা হাতিয়ে সাবিদ তাকে বাবার বাড়ীতে রেখে শটকে পড়ে। বর্তমানে সিমা বেগম ৬ মাসের অন্তস্বত্ত্বা। স্বামীর প্রতরাণায় নিঃস্ব প্রবাস ফেরৎ সিমার দিন কাটছে এখন খেয়ে না খেয়ে।
সরেজমিনে জানা গেছে, ২০১৯ সালে সিমা বেগম (১৮) সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। প্রবাসী সিমা বেগমের সাথে হবিগঞ্জের মোত্তাকিন হোসেন সাবিদের ইমুর মাধ্যমে পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের সূত্র ধরে দুজনের মধ্যে শুরুহয় গভীর প্রেম। মন দেয়া-নেয়ার এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২২ সালে সিমা বেগম সৌদি আরব থেকে দেশে চলে আসে। ১৩ এপ্রিল ৭ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর সাবিদ সিমা বেগমকে হবিগঞ্জে নিয়ে একটি বাসায় তোলে। এরপরই সুকৌশলে সিমা বেগমের প্রবাসের উপার্জনের ৪ লাখ টাকা নিজের আয়ত্বে নিয়ে নেয় স্বামী সাবিদ। অল্প দিনের মধ্যে স্বামীর আসল চেহারা ধরা পড়তে থাকে সিমার কাছে। সাবিদ প্রায় দিন মাদক সেবন করে গভীর রাতে বাসায় ফিরতো। টাকার জন্য স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতো। এক সময় সাবিদ সিমা বেগমকে বাবার বাড়ি রেখে শটকে পড়ে।
সিমা বেগম জানায়, ‘সাবিদ একজন প্রতারক। ভালবেসে তাকে বিয়ে করে প্রতারিত হয়েছে। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে সে প্রবাসে উপার্জিত ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি তার প্রতারণার সুবিচার চাই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালিক ফজলু বলেন, সাবিদ একজন প্রতারক। সে সিমা বেগমের সকল টাকা পয়সা আত্মসাত করে তাকে বাবার বাড়ীতে রেখে চলে গেছে। তিনি সাবিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত মোত্তাকিন হোসেন সাবিদের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার বাবা নাজমুল হোসেন জানান, শুনেছি মেয়েটিকে তালাক দেওয়া হয়ে গেছে। এর বেশি কিছু তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন।#
Leave a Reply