স্মৃতির মনিকোটায় সৈয়দ জামাল উদ্দিন স্মৃতির মনিকোটায় সৈয়দ জামাল উদ্দিন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে উপজেলা পরিদর্শণ করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কুলাউড়ায় প্রান্তিক এলাকায় নারীদের উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার- কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন ওয়াটসান কমিটির ওয়াশ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন বার্সেলোনায় সীফুড এক্সপো গ্লোবালে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ৩ শীর্ষনেতা বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন বড়লেখায় যুব ফোরামের অর্ন্তভূক্তিকরণ সভা রাজারহাটে শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ ওসমানীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্যানেটারী মিস্ত্রির মৃত্যু বড়লেখায় গণশুনানি : গ্রাহক হয়রানীর দায়ে পল্লীবিদ্যুত আজিমগঞ্জ কেন্দ্রের ইনচার্জকে বদলির নির্দেশ

স্মৃতির মনিকোটায় সৈয়দ জামাল উদ্দিন

  • বুধবার, ১০ জুন, ২০২০

এম.আতিকুর রহমান আখই ::

সৈয়দ জামাল উদ্দিন রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, ক্রীড়া সংগঠনক ও ৭১ এর বীর সেনানিসহ গুণে গুণান্বিত একজন ব্যক্তি। সাদা মনের মানুষ হিসাবে সর্ব মহলেই প্রশংসিত ছিলেন। রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ করলেও কুলাউড়ার সকল সঙ্কটকালিন সময়ে ভুমিকা রেখেছেন দল মতের উর্ধে্ব উঠে। তাঁর কথা বা আচরণে হেয়ো করেননি কাউকে। কোন কারণে কেউ তাঁর উপর মনঃক্ষন্ন হয়েছেন এটা জানার পর কি ভাবে ঐ মানুষটাকে খুশি করা যায় এর জন্য তিনি উদগ্রীব হয়ে যেতেন।

হযরত শাহ কামাল (রহঃ) এর স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহী জয়পাশা গ্রামে জন্মগ্রহণকারি সৈয়দ জামাল উদ্দিন এর সাথে আমার সম্পর্কটা দীর্ঘদিনের, মোটামুটি নিজের বোধগম্যতা হওয়ার পরেই জামাল ভাইয়ের সান্নিধ্যে চলে যাই। তাঁর মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সাথেই ছিলাম। অত্যন্ত নিরহংকারী ও পরোপকারী এই মহান মানুষটি উত্তম ব্যবহার দিয়ে খুব সহজেই চরম দুশমনকে আপন করে নিতে পারতেন নিমিষেই। আওয়ামী যুবলীগ এর প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান শেখ মনি এর সাথে ছিলো তাঁর বিশেষ সম্পর্ক। শেখ মনির ইন্তেকালের পর মুলত তিনি রাজনীতিতে কোনঠাশা হয়ে যান। কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন ও পরবর্তীতে কুলাউড়া পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, কিন্তুু প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ করতে না পারায় পরাজিত হয়েছেন।

সৈয়দ জামাল উদ্দিন এর সাথে আমার রাজনৈতিক কোন সম্পর্ক না থাকলেও সামাজিক সম্পর্কটা ছিলো অত্যন্ত গভীর, বিশেষ করে শিক্ষার মান সংরক্ষণ ও নকল প্রতিরোধ আন্দোলন কুলাউড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাঁর নেতৃত্বে। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে তাঁর ভুমিকা অবিস্মরণীয়। তিনি কুলাউড়া সরকারি কলেজ, নবীন চন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। মরহুম সৈয়দ জামাল উদ্দিন প্রায় দু’যুগ কুলাউড়া বাজারের ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন সভাপতি হিসাবে। জামাল ভাই কুলাউড়ার সকলের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। জননেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জননেতা নবাব আলী আব্বাস খান ও জননেতা এম এম শাহীনসহ অনেক বাঘা বাঘা নেতা জামাল ভাইকে শ্রদ্ধা করতেন বড় ভাই হিসাবে। যে কোন বড় ধরনের সংকট বা দুর্ঘটনাস্থলে জামাল ভাই উপস্থিত হলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসত সহজে। কোন মানুষ মহাবিপদে পড়েও তাঁর কাছে গেলে তিনি তাঁর মেধা ও কৌশল দিয়ে বাতিয়ে দিতেন সমাধানের সহজ পথ। সে জন্য আজও অনেকের চোখে জল বয়ে আনে তাঁর স্মরণে। রাব্বে কারিম যেনো তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের আলা মাকাম দান করেন, আমিন।

উল্লেখ্য যৌথ ছবিটি ২০০০ সালের ৮ এপ্রিল আমার প্রথম প্রকাশনা কবিতা কাপেঁনা ভয়ে, সংকলনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের। সৈয়দ জামাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত এবং বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক জনাব এ এইচ মোফাজ্জল করিম।#

লেখক পরিচিতিঃ বার্তা প্রধান কেবিসি নিউজ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews