লাউয়াছড়ায় কেশরওয়ালা ‘সিংহ বানর’ লাউয়াছড়ায় কেশরওয়ালা ‘সিংহ বানর’ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ওসমানীনগরে প্রেমিকার প্রতারণা : প্রবাসী যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগে থানায় মামলা আয়াকে দিয়ে মিথ্যা মামলা : মাদ্রাসার সভাপতি-সুপারের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে ‘কটুক্তিকারী’ সেই যুবক ওয়ার্ড আ.লীগের সম্পাদক! নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস: কমলগঞ্জে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কুলাউড়ায় রেললাইনের পাশ থেকে  অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার শ্রীমঙ্গলে বহুদলীয় প্লাটফর্ম পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের কমিটি গঠন কুলাউড়ার গাজিপুর চা-বাগান- শ্রমিক গৃহ নির্মাণের নামে টিলা কাটার অভিযোগ কমলগঞ্জে সেটেলমেন্টের ভুলের কারণে মৌরসী সম্পত্তি হারানোর ভয়ে উদ্বিগ্ন জমির মালিকরা কমলগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আত্রাইয়ে সামাজিক বনায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষন

লাউয়াছড়ায় কেশরওয়ালা ‘সিংহ বানর’

  • সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান নানা জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এ উদ্যানের নানা প্রজাতির জীবজন্তুর মধ্যে একটি হল কেশরওয়ালা ‘সিংহ বানর’ বা উল্টোলেজি বানর। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকায় এ প্রজাতিকে ‘সঙ্কটাপন্ন’ বিবেচনা করা হয়েছে। সোমবার লাউয়াছড়া উদ্যানে দেখা মিলল কেশরওয়ালা ‘সিংহ বানর’ বা উল্টোলেজি বানরের একটি দলের। এ বানর হচ্ছে ম্যাকাকগণের একটি বানর প্রজাতি। এরা কুলু বান্দর, ছোটলেজি বানর, উলু বান্দর প্রভৃতি নামেও পরিচিত।

উল্টোলেজি বানরের সোনালি রঙের লেজটি মেরুদ- বরাবর নিচের দিকে একটু উঁচু হয়ে ঝুলে থাকে। এ বানর কিন্তু সচরাচর দেখা যায় না। এটি সংকটাপন্ন। এদের গায়ের রং হালকা সোনালি থেকে বাদামি। তবে ওপরের অংশ জলপাই ধূসর আর নিচের দিক ধূসর সাদা। মাথার মাঝখানটা চ্যাপ্টা ও কালচে রঙের। বয়স্ক বানরের মাথায় কখনো কখনো কেশর দেখা যায়। ১৬২-১৮৬ দিন পর একটি বাচ্চা দেয় এরা। এরা ১০-১২ বছর বাঁচে। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ছাড়াও হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে এদের পাওয়া যায়। দলবদ্ধভাবে এরা বসবাস করে। পুরুষ, স্ত্রী ও বাচ্চা মিলে ২০-২৫টি বানর এক দলে বাস করে। পুরুষরা দলের নেতৃত্ব দেয়। স্বভাবে পুরুষ বানর বেশ রাগী হয়। কাউকে ভয় দেখানোর জন্য দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে ভেংচি কাটে এরা। এদের খাদ্য তালিকায় আছে ফল-মূল, কচি পাতা, কুঁড়ি, কীটপতঙ্গ, কাঁকড়া, পাখির বাচ্চা, পাখির ডিম ইত্যাদি।

এ বানর সম্পর্কে প্রকৃতিপ্রেমী রুহুল ইসলাম হৃদয় জানান, ‘এই বানরকে ইংরেজিতে বলে ঘড়ৎঃযবৎহ ঢ়রম-ঃধরষবফ সধপধয়ঁব। এরা বৃক্ষবাসী এবং দিবাচর। শক্ত সমর্থ পুরুষের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে পঁচিশটির মতো দলবদ্ধভাবে বাস করে এরা।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫ - ২০২০
Theme Customized By BreakingNews