লাউয়াছড়ায় কেশরওয়ালা ‘সিংহ বানর’ লাউয়াছড়ায় কেশরওয়ালা ‘সিংহ বানর’ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা কুড়িগ্রামে লোকসংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে শতভূজা বাসন্তী পূজা সমাপ্ত কমলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মইনুল ইসলাম সবুজের মতবিনিময় কুলাউড়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বড়লেখায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ও প্রদর্শনী বড়লেখায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ বড়লেখায় আমেরিকা প্রবাসী বিএনপি নেতাকে সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী কুলাউড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজু’র মতবিনিময়

লাউয়াছড়ায় কেশরওয়ালা ‘সিংহ বানর’

  • সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান নানা জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এ উদ্যানের নানা প্রজাতির জীবজন্তুর মধ্যে একটি হল কেশরওয়ালা ‘সিংহ বানর’ বা উল্টোলেজি বানর। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকায় এ প্রজাতিকে ‘সঙ্কটাপন্ন’ বিবেচনা করা হয়েছে। সোমবার লাউয়াছড়া উদ্যানে দেখা মিলল কেশরওয়ালা ‘সিংহ বানর’ বা উল্টোলেজি বানরের একটি দলের। এ বানর হচ্ছে ম্যাকাকগণের একটি বানর প্রজাতি। এরা কুলু বান্দর, ছোটলেজি বানর, উলু বান্দর প্রভৃতি নামেও পরিচিত।

উল্টোলেজি বানরের সোনালি রঙের লেজটি মেরুদ- বরাবর নিচের দিকে একটু উঁচু হয়ে ঝুলে থাকে। এ বানর কিন্তু সচরাচর দেখা যায় না। এটি সংকটাপন্ন। এদের গায়ের রং হালকা সোনালি থেকে বাদামি। তবে ওপরের অংশ জলপাই ধূসর আর নিচের দিক ধূসর সাদা। মাথার মাঝখানটা চ্যাপ্টা ও কালচে রঙের। বয়স্ক বানরের মাথায় কখনো কখনো কেশর দেখা যায়। ১৬২-১৮৬ দিন পর একটি বাচ্চা দেয় এরা। এরা ১০-১২ বছর বাঁচে। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ছাড়াও হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে এদের পাওয়া যায়। দলবদ্ধভাবে এরা বসবাস করে। পুরুষ, স্ত্রী ও বাচ্চা মিলে ২০-২৫টি বানর এক দলে বাস করে। পুরুষরা দলের নেতৃত্ব দেয়। স্বভাবে পুরুষ বানর বেশ রাগী হয়। কাউকে ভয় দেখানোর জন্য দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে ভেংচি কাটে এরা। এদের খাদ্য তালিকায় আছে ফল-মূল, কচি পাতা, কুঁড়ি, কীটপতঙ্গ, কাঁকড়া, পাখির বাচ্চা, পাখির ডিম ইত্যাদি।

এ বানর সম্পর্কে প্রকৃতিপ্রেমী রুহুল ইসলাম হৃদয় জানান, ‘এই বানরকে ইংরেজিতে বলে ঘড়ৎঃযবৎহ ঢ়রম-ঃধরষবফ সধপধয়ঁব। এরা বৃক্ষবাসী এবং দিবাচর। শক্ত সমর্থ পুরুষের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে পঁচিশটির মতো দলবদ্ধভাবে বাস করে এরা।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews