কুলাউড়ায় খাসিয়াপুঞ্জির ভূমিরক্ষার অযুহাতে সামাজিক বনায়ন বন্ধের অপতৎপরতা কুলাউড়ায় খাসিয়াপুঞ্জির ভূমিরক্ষার অযুহাতে সামাজিক বনায়ন বন্ধের অপতৎপরতা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় মসজিদে প্রবাসী ঐক্য পরিষদের আর্থিক অনুদান কমলগঞ্জ থেকে সিলেট ৭১ কিলোমিটার আল্ট্রা ম্যারাথন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নিসচার ছাগল বিতরণ কমলগঞ্জে অয়েকপম ফাউন্ডেশনের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : কুলাউড়ায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর মামলায় হয়রানির শিকার কাউন্সিলর শাওন কুলাউড়ায় বখতুন্নেছা চৌধুরী ডায়াবেটিস সেন্টারে জার্মানীর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা প্রশিক্ষণ ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বড়লেখায় নিসচা’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে র‌্যালি, আলোচনা ও ছাগল বিতরণ আগামি ৭ জানুয়ারি অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হবে-পরিবেশ ও বনমন্ত্রী নওগাঁ-৬ আসনে ১২ জনের মনোনয়ন দাখিল  ওসমানীনগরে সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান

কুলাউড়ায় খাসিয়াপুঞ্জির ভূমিরক্ষার অযুহাতে সামাজিক বনায়ন বন্ধের অপতৎপরতা

  • বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১

সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের বরাবরে আবেদন-

এইবেলা, কুলাউড়া ::

কুলাউড়া উপজেলার ডলুছড়া ও বেলকুমা খাসিয়াপুঞ্জির ভূমি রক্ষার জন্য সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে পুঞ্জিবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। গত ০৩ অক্টোবর এই লিখিত আবেদন সরাসরি বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জমা দেন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রতœতত্ত্ব সংগ্রাহক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার, কুলাউড়া ধর্মপল্লীর ফাদার যোসেফ গোমেজ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুদীপ্ত অর্জুন।

লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বনবিভাগ ও সামাজিক বনায়নের তথাকথিত উপকারভোগীসহ ডলুছড়া খাসিয়া পুঞ্জির ভূমিতে যাবেন এবং জোরপূর্বক গাছ রোপণ করবেন। সামাজিক বনায়নের নামে বনবিভাগের একটি ত্রুটিপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রশাসনের এমন তৎপরতা প্রশ্নের উদ্রেক করে।
আরও উল্লেখ করা হয়, খাসিয়া জনগণ যুগ যুগ ধরে তাদের প্রথাগত ও ঐতিহ্যগত ভূমিতে বসবাস করে আসছেন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সনদ আদিবাসীদের এই প্রথাগত ভূমি মালিকানার সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭২ সালে আইএলও কনভেনশন নং ১০৭ যা আদিবাসী ও ট্রাইবাল জনগণের জন্য নিবেদিত অনুসমর্থন করেছেন, যেখানে আদিবাসীদের ঐতিহ্যগত ভূমি অধিকার স্বীকৃত। বিভাগীয় কমিশনার বরাবর দেয়া এই আবেদনে বনবিভাগ সামাজিক বনায়নের নীতিমালা উপেক্ষা করে, খাসিয়াদের সাথে কোনো আলোচনা না করে উপকারভোগীর একতরফাভাবে তালিকা করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ডলুছড়া, বেলকুমা ও তৎসংলগ্ন অন্যান্য পুঞ্জির নিরীহ খাসিয়াদের উপর আক্রমনের ঘটনায় ইতিমধ্যে নাগরিকদের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। নাগরিকেরা এমতাবস্থায় ডলুছড়া খাসিয়া পুঞ্জির খাসিয়াদের উপর আদিবাসী অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করা ও প্রাকৃতিক বন ধংস করে সামাজিক বনায়নের প্রকল্প গ্রহণ না করতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

এ প্রসঙ্গে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, আমরা এখনও এই আবেদন প্রসঙ্গে কোন নির্দেশনা পাইনি। সামাজিক বনায়ন সরকারের একটি চলমান প্রক্রিয়া। খাসিয়াদের অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা। সামাজিক বনায়ন নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ৭ সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটিতে খাসিয়াদের প্রতিনিধি ও উপকারভোগীদের প্রতিনিধি রয়েছে। কমিটির সবার উপস্থিতিতে আমার অফিসে সমান সংখ্যক অর্থাৎ ১৫ জন করে উভয়পক্ষে উপকারভোগী নির্ধারণ করা হয়। তবে খাসিয়াদের মামলাধীন কোন বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করবো না।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews