ফুলবাড়ীতে রাস্তা না থাকায় ভোগান্তিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ফুলবাড়ীতে রাস্তা না থাকায় ভোগান্তিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় জাতীয় সামাজিক সংগঠন নিসচা’র মানববন্ধন আত্রাইয়ে উপজেলা পরিদর্শণ করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কুলাউড়ায় প্রান্তিক এলাকায় নারীদের উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার- কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন ওয়াটসান কমিটির ওয়াশ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন বার্সেলোনায় সীফুড এক্সপো গ্লোবালে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ৩ শীর্ষনেতা বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন বড়লেখায় যুব ফোরামের অর্ন্তভূক্তিকরণ সভা রাজারহাটে শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ ওসমানীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্যানেটারী মিস্ত্রির মৃত্যু

ফুলবাড়ীতে রাস্তা না থাকায় ভোগান্তিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী

  • রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১
ফুলবাড়ী :: বিদ্যালয়ের নিজস্ব রাস্তা না থাকায় ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষর্থীরা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পাশাপাশি দুটি গ্রাম ঝাউকুটি ও চর গোড়ক মন্ডপ। এই গ্রাম দুটিতে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস। রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু এখানে চলাচলের কোন রাস্তা নেই। ফলে এখানকার বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

ঝাউকুটি গ্রামের কৃষক আবদার আলী বলেন, আমরা খুব কষ্টে দিন যাপন করছি। রাস্তা নেই তাই পায়ে হেঁটেই চলাচল করতে হয়। কৃষিপণ্য কেনাবেচার জন্য মাথায় করে নিয়ে যেতে হয়।

কেউ অসুস্থ হলে ডাক্তার ডাকলে আসতে চায় না। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই। ছামিনা বেগম বলেন, আমি একজন গর্ভবতী মহিলা। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হেঁটেই নিয়মিত পাশের গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে যেতে হয়। এতে খুব কষ্ট হয়।

রাস্তা না থাকায় ভোগান্তির শিকার হতে হয় ঝাউকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়টিতে ৪ জন শিক্ষক ১৭০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাচ্ছেন।

সংযোগ সড়ক না থাকায় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বছরের পর বছর চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তাদেরকে যাতায়াত করতে হচ্ছে ফসলি জমি ও জমির সরু আইল দিয়ে। এ সময় ফসলি জমির মালিক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের পথ রোধের ঘটনাও ঘটছে অহরহ।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিপ্লব মিয়া, তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শাপলা খাতুন, শারমিন আাক্তার ও মজদুল ইসলাম জানায়, জমির আইল দিয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করতে অনেক সময় পা পিছলে মাটিতে পড়ে যাই।

তখন বই খাতাসহ পোষাক নষ্ট হয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমে বারোমাসিয়া ও ধরলা নদী উপচে জমির আইল পানিতে ডুবে যায়। তাই সে সময় আমরা নিয়মিত স্কুলে যেতে পারি না।

বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর সাত্তার বলেন, একটি রাস্তার অভাবে ছাত্রছাত্রিসহ গ্রামবাসী মানবেতর জীবনযাপন করছি। গ্রামে রাস্তা নির্মাণ হলে আমাদের চিরকালীন এ দুঃখের অবসান ঘটতো।

প্রধান শিক্ষক আশরাফুল হক জানান, বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য সংযোগ সড়ক স্থাপন করা খুব জরুরি। প্রতি বছর বন্যার কারণে দফায় দফায় স্কুল বন্ধ রাখতে হয়।

এতে শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীসহ এ অঞ্চলের মানুষ অসহনীয় দুর্দশার শিকার হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হলেও এখনো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews