কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারে সেই বাঘটি মা ‘মেছো বিড়াল’ বন্যপ্রাণী বিভাগের এলাকা পরিদর্শণ কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারে সেই বাঘটি মা ‘মেছো বিড়াল’ বন্যপ্রাণী বিভাগের এলাকা পরিদর্শণ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম : হামলাকারি গ্রেফতার জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ নিলেন কুলাউড়াবাসী মৌলভীবাজারে ইকোপার্ক এলাকায় অবৈধ টিলা কর্তনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা মব কালচার মানুষের মধ্যে ভয় আতংক তৈরি করে রেখেছে– রুহুল কবির রিজভী দলীয় প্রতীক থাকছে না স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আন্দোলন করলে বাধ্যতামূলক অবসর সরকারি চাকরীজীবিদের কমলগঞ্জে রাস্তার পাশে সরকারী জায়গায় স্থাপনকৃত অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ কমলগঞ্জে ঘরের ফ্যানের  সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে যুবতীর আত্মহত্যা বড়লেখার হাজী সামছুল হক হাইস্কুলের এসএসসি উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা কমলগঞ্জে টমেটো গ্রাম বনগাঁও এলাকায় কাঁচা রাস্তায় সীমাহীন ভোগান্তি

কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারে সেই বাঘটি মা ‘মেছো বিড়াল’ বন্যপ্রাণী বিভাগের এলাকা পরিদর্শণ

  • সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১

এইবেলা , কুলাউড়া  ::

কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের ৪ গ্রামের মানুষের মধ্যে বাঘের আতঙ্ক দেখা দেয়ায়। ০৮ নভেম্বর সোমবার বেলা ৩টায় ওই এলাকা পরিদর্শন করে মৌলভীবাজার বন্য প্রাণী বিভাগের নেতৃত্বে একটি দল। পরিদর্শন শেষে পায়ের চাপ দেখে পরিদর্শণকারী দল নিশ্চিত হন কযেকদিন থেকে ওই এলাকায় বিচরণ করা প্রাণী বাঘ নয় মেছো বিড়াল ।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সাতরা এলাকার আশপাশে বিগত কয়েকদিন থেকে বাঘ আকৃতির একটি প্রাণী মানুষের গৃহপালিত পশু-পাখি ও মানুষকে আক্রমণের খবর পত্রিকায় প্রকাশ হলে বন অধিদপ্তর, বন্য প্রাণী বিভাগ মৌলভীবাজারের এই দলটি ওই স্থান পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁরা মেছো বিড়ালের আক্রমণে মৃত ছাগলের মালিককে ক্ষতিপূরণ বাবদ নগদ অর্থ প্রদান করেন।

পরিদর্শনে অংশ নেন মৌলভীবাজার বন্য প্রাণী বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার মিত্র, টোকিও মেট্টোপলিটন ইউনিভার্সিটি অব জাপানের সহকারী অধ্যাপক ও ফিশিং ক্যাট গবেষক ড. আই সুজুকি, মৌলভীবাজার রেঞ্চ কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ারসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী।

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা আজ ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে পায়ের চাপ দেখে নিশ্চিত হতেে পেরেিেছ যে এটা বাঘ নয়, মেছো বিড়াল। মেছো বিড়াল সাধারণত হাওর এলাকা বা পুকুরের আশপাশে থাকে। মেছো বিড়াল খাদ্য হিসেবে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ভোগ করে মাছ ও ইঁদুর । আর এখানে এসে শুনলাম ছাগল ও রাজহাঁস মেরেছে। তা অনেক সময় হয়ে থাকে। তার কারণ মেছো বিড়াল যখন বাচ্চা জন্ম দেয় তখন খাবারের সংকট দেখা দিলে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।

মেছো বিড়াল যে স্থানে থাকে তার আশপাশের প্রায় ২ কিলোমিটার জাযগায় বিচরণ করে থাকে। তবে এরা মানুসের কোনো ক্ষতি করে না। তাই এসব এলাকার মানুষ আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। মেছো বিড়াল এ আচরণ বেশি দিন করে না। তাই কয়েকদিন গৃহপালিত পশু-পাখি খেযাল করে রাখার আহবান করেন।

প্রত্যেক প্রানী কোনো কোনো ভাবে আমাদের উপকারে আসে। পরিদর্শন দল উপস্থিত সবাইসহ এলাকার সবার প্রতি অনুরোধ করেন জেনো কোনো বন্য প্রানী হত্যা না করেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews