কমলগঞ্জে পানি সংকটে ৬শ’ হেক্টর জমিতে এখনো বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হতাশ কৃষকরা কমলগঞ্জে পানি সংকটে ৬শ’ হেক্টর জমিতে এখনো বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হতাশ কৃষকরা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
প্রেসক্লাব কুলাউড়ার সভাপতির মায়ের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল কুলাউড়ায় এশিয়া আর্সেনিক নেটওয়ার্কের “সেইফ ওয়াটার ক্যাম্পেইন “ কুলাউড়ায় ভারতীয় বিএসএফ’র গুলিতে নিহত পারভেজের লাশ হস্তান্তর কুলাউড়ায় নিহত নৈশ প্রহরীর পরিবারকে সহায়তা প্রদান ৮ বছরেও সংস্কার হয়নি বন্যায় বিধ্বস্ত ফুলবাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ি বাঁধ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ত্যাগের রাজনীতি করে গেছেন : প্রতিমন্ত্রী শফিক চৌধুরী  রাজনগরে চিনি বোঝাই ট্রাক আটকিয়ে চাঁদাবাজি, থানায় মামলা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ খেলবেন না তানজিম সাকিবের কুলাউড়ায় সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত ১, আহত ১ বড়লেখায় নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন

কমলগঞ্জে পানি সংকটে ৬শ’ হেক্টর জমিতে এখনো বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হতাশ কৃষকরা

  • বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::

মৌসুমের শেষ সময়েও নদীতে পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের প্রায় ৬শ’ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। লাঘাটা নদীর উজানে আলীনগর ইউনিয়নের চিতলীয়া এলাকায় ক্রসবাঁধ দিয়ে অন্যত্র পানি নেয়ার কারণে নিম্নাঞ্চলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এতে কৃষকের তৈরি বীজতলা বিনষ্ট হচ্ছে। ফলে মৌলভীবাজারের কৃষি অধ্যূষিত কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ও পতনউষার ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের প্রায় পাঁচশ’ কৃষক বোরো চাষাবাদ করতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়ছেন।

কৃষকদের অভিযোগে জানা যায়, বোরো মৌসুমের শেষ সময়েও উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের কেছুলুটি, ভাদাইর দেউল, সতিঝির গ্রাম, মরাজানের পার, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রামপুর এবং পতনউষার ইউনিয়নের ধূপাটিলা গ্রামে বিস্তীর্ণ জমি খাঁ খাঁ করছে। অন্যান্য বছরের এই সময়ে কৃষকরা চারা রোপন করলেও এবছর এখনও জমিতে পানির দেখা নেই। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু স্থানে মেশিনের মাধ্যমে নদী থেকে সেচ দিয়ে কৃষকরা চাষবাস করছেন। তবে সতিঝিরগ্রামে লাঘাটা নদীর স্লুইচগেট আটকানোর পরও পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এতে জমি তৈরি করাও সম্ভব হচ্ছে না। অনেকের তৈরি বীজতলাও বিনষ্ট হতে চলেছে। ফলে এই ছয় গ্রামের প্রায় পাঁচ থেকে সাতশ’ একর বোরো জমি অনাবাদি রয়েছে। অধিকাংশ কৃষকরা জমি তৈরি করতে না পারায় তারা হতাশ হয়ে পড়ছেন।

ধূপাটিলা গ্রামের কৃষক ফারুক মিয়া, তাহিদ আলী বলেন, “এবার নদীর নিচে পানি থাকায় বোরো ক্ষেত হইতো নায়। আমরার হালির চারা নষ্ট হই যার। এখন আর কোনদিন ক্ষেত করতাম। এখন কিতা করমু বুঝতাম পাররাম না। অনেক ক্ষতি অই যাইবো।”

কেছুলুটি গ্রামের ছুফি মিয়া, ধূপাটিলা গ্রামের মানিক মিয়া, আক্তার মিয়া, রামপুর গ্রামের মো. শাহাজানসহ কৃষকরা বলেন, অন্যান্য বছরের এই সময়ে আমরা জমিতে চারা রোপন করে ফেলতাম। এবছর এখনও পানি না থাকায় জমিও তৈরি করা যাচ্ছে না। রোপনের সময়টুকুও চলে হচ্ছে। জমিতে ধানের সবগুলো চারাও নষ্ট হচ্ছে। আর কবে পানি পাওয়া যাবে এবং ক্ষেত হবে তা নিয়ে চিন্তায় আমাদের দিন কাটছে। তবে মৌসুম চলে যাওয়ার সময় হলেও কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও এসব বিষয় নিয়ে কেউ মাথা ঘামাচ্ছেনা না বলে তারা অভিযোগ তুলেছেন।

সমাজকর্মী ও কৃষক দুরুদ আলী, লাঘাটাছড়া পাবসস লি: এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, লাঘাটা নদীর সতিঝিরগ্রামে স্লুইসগেট আটকানোর একমাস হয়ে গেলেও চাহিদা অনুযায়ী পানি পাওয়া যাচ্ছে না। উজানে চিতলীয়া এলাকায় ক্রস বাঁধ দিয়ে পানি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ায় আমরা চাষাবাদ উপযোগী পানির সুবিধা পাচ্ছি না। ফলে প্রায় ৫শ’ হেক্টর এলাকায় চাষাবাদ সম্ভব হচ্ছে না। তারা আরও বলেন, এসব বিষয়ে দু’দফা আমরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তারপরও পানির কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনি খান বলেন, উজানের বাঁধের বিষয়টি তদন্তক্রমে পানির ব্যবস্থা করা হবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, নদীতে পানি সমস্যার বিষয়টি এই প্রথম শুনলাম। কৃষি কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে কৃষকদের চাষাবাদের ব্যবস্থা করা হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews