কুড়িগ্রামে পাবজি ও ফ্রি-ফায়ার গেম এ আসক্ত হচ্ছে তরুণরা কুড়িগ্রামে পাবজি ও ফ্রি-ফায়ার গেম এ আসক্ত হচ্ছে তরুণরা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় একাধিক মামলার পলাতক আসামী শাওন পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে বড়লেখায় শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ ২০৭ পরিবারে প্রবাসি সংগঠনের ঢেউটিন বিতরণ কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ কমলগঞ্জে কালবৈশাখী তাণ্ডবে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত; খোলা আকাশের নিচে অনেক পরিবার কুলাউড়ায় চা বাগান কেন্দ্রিক প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা কমলগঞ্জে মায়ের উপর অভিমান করে গলায় শাড়ি দিয়ে শিশুর আত্মহত্যা কমলগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু বড়লেখায় জাতীয় সামাজিক সংগঠন নিসচা’র মানববন্ধন আত্রাইয়ে উপজেলা পরিদর্শণ করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কুলাউড়ায় প্রান্তিক এলাকায় নারীদের উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার-

কুড়িগ্রামে পাবজি ও ফ্রি-ফায়ার গেম এ আসক্ত হচ্ছে তরুণরা

  • রবিবার, ১৫ মে, ২০২২
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন  উপজেলার শিশু, কিশোর, তরুণ এমনকি তরুণীরাও স্মার্টফোন আর অনলাইন ভিত্তিক  গেম ফ্রি-ফায়ার ও পাবজিতে দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়ছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শিশু, কিশোর তরুণ এবং তরুণরীরাও বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের মাঠ, ফাঁকা জায়গাতে বসে মোবাইলে খেলছে। এক তরুণীর সাথে কথা হলে তিনি নাম জানাতে অস্বীকার করে বলেন, এইটা আমার  ফোননা আমার বন্ধুর ফোন তার কাছ থেকে একটু নিলাম খেলতে।
প্রসঙ্গত, ফ্রি-ফায়ার ও পাবজি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন গেম। মোবাইল এবং কম্পিউটার দুটোতেই খেলা যায় এই গেম।
তবে ফ্রি-ফায়ার কম্পিউটার ভার্সন থেকে মোবাইল ভার্সনটিই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আর এটিতে বেশি আসক্তি হয়েছে শিশু, কিশোর, তরুণ এমনকি তরুণীরাও ।
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা এই অনলাইন গেমকে, মুঠোফোন, কম্পিউটার বা ভিডিও গেমের ক্ষতিকর ব্যবহারকে রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সচেতন মহল বলছেন, এসব গেম আসক্তির কারণে শিশু কিশোর ও তরুণরা পারিবারিক সামাজিক অবস্থান থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে। সাথে পড়াশোনা থেকেও তাদের মনোযোগ কমছে। এই গেমগুলো মানসিক রোগের কারণও হতে পারে। শারীরিক মানসিক রোগের সাথে এই গেমটি একজন শিশু, কিশোর কিংবা তরুণীনের উপর সামাজিক মূল্যবোধের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
গেমটি যেহেতু একটি জায়গাতেই আটকে থেকে খেলতে হয়। তাই, এই গেম খেলা মানুষটি সামাজিকভাবে খুব বেশি সংযুক্ত থাকতে পারে না। আর এই কারণে সামাজিক মূল্যবোধের সাথে সমাজের আচার ব্যবহার থেকেও ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে হয় সেই মানুষটিকে।
এই গেমটি অতিরিক্ত খেলার কারণে চোখের সমস্যাও হতে পারে। আর সেই সাথে দেখা দেয় ঘুমের ঘাটতিও। কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনে বেশি সময় ধরে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের ক্ষতি হতে পারে। আর চোখের সমস্যার সাথে ঘুমেরও ঘাটতি দেখা দেয় তাদের মধ্যে।
অবিভাবকরা অনলাইন গেম সম্পর্কে ঠিকমতো ধারণা না থাকায় সন্তানের ঠিকমতো খোঁজখবর রাখতে পারেন না।
এ ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশেষ করে অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান , এই গেম থেকে ছেলে ও মেয়েদেরকে সরাতে হলে    অভিভাবকসহ সমাজের সবাই মিলে এ বিষয়ে তদারকি করতে হবে। না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভয়ঙ্কর হতে পারে। তাই সবাইকে সচেতন হওয়া জরুরি।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews