শ্রেণীকক্ষ, মাঠ ও রাস্তায় এখনো পানি- বড়লেখায় খুলছে না অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্রেণীকক্ষ, মাঠ ও রাস্তায় এখনো পানি- বড়লেখায় খুলছে না অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে উপজেলা পরিদর্শণ করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কুলাউড়ায় প্রান্তিক এলাকায় নারীদের উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার- কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন ওয়াটসান কমিটির ওয়াশ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন বার্সেলোনায় সীফুড এক্সপো গ্লোবালে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ৩ শীর্ষনেতা বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন বড়লেখায় যুব ফোরামের অর্ন্তভূক্তিকরণ সভা রাজারহাটে শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ ওসমানীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্যানেটারী মিস্ত্রির মৃত্যু বড়লেখায় গণশুনানি : গ্রাহক হয়রানীর দায়ে পল্লীবিদ্যুত আজিমগঞ্জ কেন্দ্রের ইনচার্জকে বদলির নির্দেশ

শ্রেণীকক্ষ, মাঠ ও রাস্তায় এখনো পানি- বড়লেখায় খুলছে না অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  • শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২

আব্দুর রব :

বড়লেখায় ধীরগতিতে নামছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ। দীর্ঘ ১ মাস ধরে উপজেলার দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ৪৮টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে ১০ সহস্রাধিক বানভাসী দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালিন ছুটি শেষে রোববার প্রাইমারি স্কুল ও বুধবার মাধ্যমিক স্কুল খুলছে। কিন্তু এখনো অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি থাকায় ও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় সেগুলোতে অন্তত এক সপ্তাহের মধ্যে পাঠদান শুরু করা সম্ভব হবে না।

জানা গেছে, ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালিন ছুটি শেষে রোববার প্রাইমারি স্কুল ও বুধবার মাধ্যমিক স্কুলগুলো খুলছে। কিন্তু উপজেলার হাকালুকি হাওরপাড়ের বর্নি, সুজানগর ও তালিমপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে এখনো বন্যার পানি নামেনি। উপজেলা প্রশাসন বানভাসীদের জন্য যেসব বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে সেগুলোর শতভাগই সরকারি প্রাইমারি স্কুল ও মাধ্যমিক স্কুল। বন্যার পানি অত্যন্ত ধীরগতিতে নামায় আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারাও তাদের বাড়িতে ফিরতে পারছে না।

সরেজমিনে সুজানগর ইউনিয়নের আজিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিন্তাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়থল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতদের থাকতে দেখা গেছে। ভোলারকান্দি গ্রামের আশ্রিতরা জানান, বন্যার পানি কিছুটা কমলেও বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার মতো অবস্থা এখনো তাদের হয়নি। আরো কয়েকদিন বৃষ্টিপাত না হলে তারা বাড়ি ফিরতে পারবেন। হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র দাস জানান, তারস্কুলে প্রায় ১ মাস ধরে ৭২ পরিবার বসবাস করছে। ২-৩টি পরিবার বাড়ি ফিরতে পেরেছে। বাকিদের ফিরতে আরো ৫-৭ দিন লাগতে পারে। দুর্গতরা স্কুল না ছাড়লে শ্রেণী কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়। ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রীবাস চন্দ্র দাস জানান, তার স্কুলে আশ্রয় নেওয়া দুর্গতদেরও বাড়িঘর থেকে এখনো বন্যার পানি নামেনি, তাই তাদের বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেই। এদিকে আগামি বুধবার স্কুল খুলবে। বন্যাদুর্গদের স্কুলে রেখে শ্রেণী কার্যক্রম শুরু করা মুঠেও সম্ভব হবে না। এছাড়া সালদিগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঘমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাটনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো পানিবন্দি থাকতে দেখা গেছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঈদের ও গ্রীষ্মকালিন ছুটি শেষে রোববার (আজ) স্কুল খুলছে। হাকালুকি পাড়ের তালিমপুর, বর্নি ও সুজানগর ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয় বন্যা কবলিত। বেশ কয়েকটিতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুর্গতরা এখনও আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়েনি। রোববার স্কুল করা যায় কি না তা সরেজমিনে তিনি পরিদর্শণ করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews