বড়লেখায় ৮ মেম্বারের কাছে জিম্মি ইউপি চেয়ারম্যান : সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ বড়লেখায় ৮ মেম্বারের কাছে জিম্মি ইউপি চেয়ারম্যান : সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:০৯ অপরাহ্ন

বড়লেখায় ৮ মেম্বারের কাছে জিম্মি ইউপি চেয়ারম্যান : সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

  • রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২

বড়লেখা প্রতিনিধি :

বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান ও তার ছেলে আবু হায়দার টিপু এবং হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পরিষদের ৮ সদস্য যেসব অভিযোগ তুলেছেন তা মিথ্যা, পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেছেন। রোববার বেলা দুইটায় তালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি পরিষদের ৮ সদস্যের কাছে জিম্মি।

এসময় ইউপি সচিব সিদ্ধার্থ শংকর দাস, প্যানেল চেয়ারম্যান খয়রুল হক, ইউপি সদস্য শাহিন আহমদ ও আয়েশা বেগম, সাবেক শিক্ষক অতুল চন্দ্র নাথ, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, ইউপি কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান বলেন, ২০২২ সালে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সততা ও নিষ্টার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই পরিষদের ৮ জন্ সদস্য তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালাতে থাকেন। গত ১৬ জানুয়ারি পরিষদের সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে লটারির মাধ্যমে ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খয়রুল হক প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর সবাই রেজুলেশনে স্বাক্ষরও করেন। এই তথ্য গোপন করে বদরুল ইসলামসহ ৮ জন ইউপি সদস্য আমার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেন আমি নাকি বিধি না মেনে কোন সদস্যের মতামত না নিয়ে আমার পছন্দের ব্যক্তিকে প্যানেল চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এরপরও আমি সব বিভেদ ভুলে পরিষদের সকল সদস্যকে নিয়ে পরিষদ পরিচালনা অব্যাহত রেখেছি। ইউপি সদস্যদের সাথে মাসিক সভায় আলাপ-আলোচনা করে সবধরণের প্রকল্প গ্রহণ ও সকল সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে নিচ্ছি। কিন্তু সম্প্রতি ইউপি সদস্য সঞ্জয় দাসের নেতৃত্বে ৮ জন ইউপি সদস্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন আমি জন্মনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, নাগরিক সনদ, অটোরিকশার প্লেট ও ট্যাক্স আমার লোকদ্বারা আদায় ও আত্মসাৎ করেছি। যা গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পরিষদের রেজুলেশন অনুযায়ী জন্মনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, নাগরিক সনদ, অটোরিকশার প্লেট ও ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। যার রশিদ ইউনিয়নের এ দায়িত্বে থাকা হেলাল উদ্দিনের কাছে আছে। এর বাইরে অতিরিক্ত কোন টাকা কেউ আদায় করে না। এসব টাকা থেকে অফিসের ব্যয় পরিশোধ করে অবশিষ্ট টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন উল্টো তারাই বিভিন্ন অনিয়ম করছেন। বরং তাদের স্বেচ্ছাচারতিা ও অনিয়মের কারণে আমি সঠিকভাবে জনগণের সেবা দিতে পারছি না। তাদের কাছে আমি জিম্মি ও অসহায়। তারা নাগরিকদের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধনের খাত থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আত্মসাত করেছেন। তাদের দুর্নীতির অনেক তথ্যপ্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews