মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন : বিনোদন ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে যুক্ত হবে নতুন মাত্রা মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন : বিনোদন ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে যুক্ত হবে নতুন মাত্রা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন

মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন : বিনোদন ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে যুক্ত হবে নতুন মাত্রা

  • শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

আব্দুর রব ::

দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক ও জলপ্রপাত এলাকার জীববৈচিত্র সংরক্ষণ, টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং চিত্তবিনোদনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে ইকো-ট্যুরিজমসহ সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে গৃহীত মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই তথ্যটি নিশ্চিত করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি।

বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার পিকনিক স্পট ও বিনোদন কেন্দ্র মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন করা হয়।

এব্যাপারে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি বলেন, মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক এলাকার প্রকল্প কার্যক্রমের সফল সমাপ্তির পর নিঃসন্দেহে এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, বনায়ন কার্যক্রম, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে ব্যাপক সম্পদ সৃষ্টি হবে।

মন্ত্রী আরো জানান, বিদ্যমান ভূমির ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা ওপর ভিত্তি করে প্রস্তাবিত এলাকাকে ৩টি জোনে বিভক্ত করা হবে। ছড়া, পাহাড়ের ঢালসহ বনভূমি ও বনভূমির আশেপাশের ক্যাচমেন্ট এরিয়া সংরক্ষণের জন্য একটি বন সংরক্ষণ জোন থাকবে। যেখানে বিরল ও সংকটাপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। উক্ত বন সংরক্ষণ জোনের মোট আয়তন হবে ৯২৫ একর। প্রকল্প এলাকায় তথ্যকেন্দ্র, জাদুঘরসহ বিবিধ সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন একটি ইকোট্যুরিজম জোনের প্রস্তাব করা হয়েছে। পার্ক এলাকার মধ্যে ইকোট্যুরিজম জোনটির আয়তন হবে ৩.৯৬ একর। এছাড়া প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যানে আউটডোর বিনোদনের জন্য ইকোপার্ক এলাকার বাহিরে ব্যক্তিগতভাবে ছোট রিসোর্ট, কটেজ, কনভেনশন হল বা মিটিং ফ্যাসিলিটি সম্পন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য একটি বর্ধিত ইকোট্যুরিজম জোনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এই প্রকল্পে নতুন মাত্রা যোগ করছে। উক্ত বর্ধিত ইকোট্যুরিজম জোনের আয়তন হবে ৩৯১ একর।

উল্লেখ্য, উক্ত মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় মাধবকুণ্ডে দর্শনার্থীদের জন্য ক্যাবল কার স্থাপন করা হবে। এছাড়াও জলপ্রপাত ফুট ট্রেইল, নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর, মসজিদ, রেস্টুরেন্ট, কফি কর্ণার, বিশ্রামের জায়গা ছাউনিসহ বসার স্থান এবং প্রধান পার্কিং এলাকায় ৫টি স্যুভেনির শপ নির্মিত হবে। এছাড়াও বর্জ্যব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট, কেন্দ্রীয় বাস ও কারপার্কিং, চিলড্রেন’স কর্ণার, হালকা যানবাহনের পার্কিং, প্রজাপতি পার্ক, এনরিচমেন্ট বাগান, বিদ্যমান স্থাপনার পুনর্বাসন করা হবে। পার্ক এলাকায় পানি সরবরাহ, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, সীমানা প্রাচীর, ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে ইকোলজ, নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন, জলপ্রপাত পর্যবেক্ষণ প্ল্যাটফর্ম, ছড়ার পাশ দিয়ে সংরক্ষণ মূলক, প্রাথমিক চিকিৎসা/জরুরী উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews