ছনের ছাউনির ঘর বিলুপ্তির পথে– ছনের ছাউনির ঘর বিলুপ্তির পথে– – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় জাতীয় সামাজিক সংগঠন নিসচা’র মানববন্ধন আত্রাইয়ে উপজেলা পরিদর্শণ করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কুলাউড়ায় প্রান্তিক এলাকায় নারীদের উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার- কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন ওয়াটসান কমিটির ওয়াশ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন বার্সেলোনায় সীফুড এক্সপো গ্লোবালে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ৩ শীর্ষনেতা বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন বড়লেখায় যুব ফোরামের অর্ন্তভূক্তিকরণ সভা রাজারহাটে শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ ওসমানীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্যানেটারী মিস্ত্রির মৃত্যু

ছনের ছাউনির ঘর বিলুপ্তির পথে–

  • শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৪
রতি কান্ত রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: বিলুপ্তির পথে ছনের ঘর। গ্রাম ও শহরে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের কথা বলে ছনের তৈরি ঘর। আগে গ্রাম-গঞ্জে প্রায় শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষের ছনের ছাউনির ঘর ছিল।
পাশাপাশি উচ্চ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের থাকার জন্য ছিল টিনের ঘর এবং ছনের ঘরগুলো ছিল অনেকটা শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত।
অতি গরমে যেমন, ঠান্ডা ও আরামদায়ক তেমনি শীতের দিনে ছিল উষ্ণ গরম। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়লই গ্রামের শাহিন আলম (৫০) জানান, এই ঘরটি আমার বাবার আমলের স্মৃতি রক্ষার্থে এখন পর্যন্ত ঘরের খাম বদল, সামান্য মেরামত করে পাটের খড়ির বেড়ার পরিবর্তে বাশেঁর চাটাইয়ের বেড়া দিয়ে ঘরটি ব্যবহার করার উপযোগী করে তুলেছি। তাছাড়া এই ঘর ছাউনি দেওয়ার মতো কারিগর নেই বললেই চলে।
কালের সাক্ষী বাপ দাদার আমলের এই ঘরটিও আমার বসতভিটায় আজ বিলীন হতে চলেছে।
বিশেষ কায়দায় ছনকে সাজিয়ে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে ছাউনি দেওয়া হতো।ধনি,দরিদ্র সবাই ছনের ঘরে বাস করত। তবে ধনিদের বাড়ীতে এক-দুটি টিনের ঘর দেখা যেত।
সাধারণত বন্যা, ভূমিকম্প, ঝড় কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এসব ছনের ঘরে তিন-চার বছর পর মেরামত বা নতুন খর ব‍্যবহার করা হত। দরিদ্র মানুষেরা ছনের বদলে খড় ব‍্যবহার করতো। আভিজাত্য অনুযায়ী ছনের ঘরে বিভিন্ন নকশা উন্নত মানের ছন ও ভালো ঘর শ্রমিক ব‍্যবহার করা হত। জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয়েছে। ফলে ইট, পাথর, সিমেন্ট রড, টিন আজ দখল করে নিয়েছে অতীতের ছনের ঘরের স্থান।
এ ব্যাপারে গ্রামের বয়োবৃদ্ধ কাইয়ুম (৮০) তার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছনের ঘর না থাকায় মানুষ অসুস্থ হচ্ছে বেশি। কারণ মানুষ প্রাকৃতিক বাতাস ও আবহাওয়া থেকে আজ অনেক দূরে। সারাক্ষণ এসি ও বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার করে আসছে। আগামী প্রজন্মের কাছে রূপকথা হয়ে থাকবে ছনের ঘর বা কুঁড়েঘর।
বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোগারকুটি গ্রামের শামীম কবির বুলবুল বলেন, গরীবের শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর হচ্ছে ছনের ঘর। গ্রামের হতদরিদ্র কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর একমাত্র আশ্রয় ছিল ছনের ঘর। বাঁশের খুঁটি এবং চাটাই কিংবা বাঁশের শলাকা দিয়ে তৈরি দোচালা বা চারচালা ঘরের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হতো ছন।
কিছুদিন আগেও গ্রামবাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যেত ছনের ঘর। বর্তমানে ছনের ঘর নাই বললেই চলে। বাংলার ঐতিহ্যর সঙ্গে এই ছনের ঘর ছিল খুব আরামের জায়গা। গরিবের পাশাপাশি সরকারি কার্যালয়সহ,ধনাঢ্য পরিবারের বাড়িতেও ছিল ছনের ঘর।
বসত ঘরের পাশাপাশি তৈরি করা হতো রান্না ঘর। আর ধান ভানার জন্য এসব ঘরে ব্যবহার করা হতো ঢেঁকি। আজ গ্যাসের চুলা বৈদ্যুতিক কুকার, রাইস মিল, আসায় একদিকে যেমন মানুষের জীবনকে আধুনিক করে তুলেছে, পাশাপাশি মানুষের সচ্ছলতায় হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ছনের ঘর। নতুন প্রজম্ম জানে না কুঁড়েঘর কী। আর প্রবিনদের কাছে কূঁড়েঘর কেবলই ম্মৃতি।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews