বড়লেখার কেছরীগুল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বড়লেখার কেছরীগুল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম : হামলাকারি গ্রেফতার জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ নিলেন কুলাউড়াবাসী মৌলভীবাজারে ইকোপার্ক এলাকায় অবৈধ টিলা কর্তনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা মব কালচার মানুষের মধ্যে ভয় আতংক তৈরি করে রেখেছে– রুহুল কবির রিজভী দলীয় প্রতীক থাকছে না স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আন্দোলন করলে বাধ্যতামূলক অবসর সরকারি চাকরীজীবিদের কমলগঞ্জে রাস্তার পাশে সরকারী জায়গায় স্থাপনকৃত অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ কমলগঞ্জে ঘরের ফ্যানের  সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে যুবতীর আত্মহত্যা বড়লেখার হাজী সামছুল হক হাইস্কুলের এসএসসি উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা কমলগঞ্জে টমেটো গ্রাম বনগাঁও এলাকায় কাঁচা রাস্তায় সীমাহীন ভোগান্তি

বড়লেখার কেছরীগুল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪

এইবেলা রিপোর্ট::

বড়লেখা উপজেলার কেছরীগুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি, অভিভাবক সদস্য, সাবেক সভাপতিসহ এলাকাবাসি এই অভিযোগ তোলেছেন। বছরের পর বছর বিধি বর্হিভুতভাবে স্কুলের টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে হাতে রেখে ইচ্ছামতো খরচ করছেন। স্কুলের খাত ওয়ারি পৃথক পৃথক ব্যাংক একাউন্ট থাকার কথা থাকলেও একটি মাত্র ব্যাংক হিসাব (সাধারণ খাত) রয়েছে ওই স্কুলের। স্কুল প্রতিষ্ঠার পর অদ্যাবধি খুলেননি বিভিন্ন গুরুত্ত্বপূর্ণ খাতের ব্যাংক হিসাব।

জানা গেছে, যে কোনো বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে জেনারেল ফান্ড (টিউশন ফি, সেশন ফি, পুনঃভর্তি, বিলম্ব ফি, পরীক্ষা ফি), উন্নয়ন ফি, বার্ষিক ক্রিড়া, স্কাউট, গ্রেচুয়িটি, উৎসব ভাতাসহ বিভিন্ন খাতের পৃথক ব্যাংক হিসাব খুলে ওই খাতের প্রাপ্ত অর্থ সংশ্লিষ্ট হিসাবে জমা রাখার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। পৃথক খাতগুলোর ব্যয় নির্বাহের প্রয়োজনে ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করতে হয়। কিন্তু কেছরীগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান স্কুল প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আজও এসব খাতের কোনো ব্যাংক হিসাবই খুলেননি। শুধুমাত্র সাধারণ তহবিল নামে একটি ব্যাংক হিসাব খুলে সব খাতের প্রাপ্ত অর্থ লেনদেন করছেন। তবে সর্বশেষ ওই তহবিলে গত ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৩০ হাজার টাকা জমা দিয়ে পরক্ষনে তা উত্তোলন করেন। প্রায় ১৬ মাস ধরে তিনি আর কোনো ব্যাংক লেনদেন করেননি। প্রতিমাসের ছাত্র বেতনসহ অন্যান্য খাতের অর্থ কালেকশন করে শ্রেণি শিক্ষকরা যে যার মতো ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন। তবে ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসির অভিযোগ গত ৫-৬ বছর ধরে প্রধান শিক্ষক স্কুলের কোনো লেনদেনই ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সম্পন্ন করেননি। সবই নিজের পকেটে রেখে স্কুল চালাচ্ছেন।

ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি সভাপতি ফয়জুর রহমান, সাবেক সভাপতি শরফ উদ্দিন নবাব, বর্তমান অভিভাবক সদস্য মইন উদ্দিন, মো. নুরুল ইসলাম প্রমুখ জানান, তারা কমিটিতে আসার পর অনেক সভায় স্কুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব, খাত ওয়ারি ব্যাংক একাউন্ট করার এবং প্রত্যেক খাতের আয় ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়ার তাগিদ দিলেও প্রধান শিক্ষক তা শুনেননি। ৩ শতাধিক ছাত্রছাত্রীর ভর্তি ফি, সেশন ফি, টিউশন ফি মাসে মাসে কালেকশন করে পকেটে রেখে ইচ্ছামতো খরচ করেন। তাকে কোনো জবাব দিহিতার মধ্যে আনা যায়নি। তিনি যে স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ করেননি তার নিশ্চয়তা কোথায়। আগামি ১৪ জুন তাদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান সাধারণ তহবিল ব্যতিত তার স্কুলের আর কোনো খাতওয়ারি ব্যাংক হিসাব না থাকার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, করোনার পর গত বছরের জানুয়ারিতে ৩০ হাজার টাকা জমা ও উত্তোলন ব্যতিত আর কোনো টাকা ব্যাংকে জমা রাখেননি। শ্রেণি শিক্ষকরা মাসিক ছাত্র বেতন কালেকশন করে (শিক্ষকদের) বেতনের বেসরকারি অংশ হিসাবে নিজেরা নিয়ে নেন। যা মোটেও ঠিক হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম জানান, যে কোনো এমপিওভুক্ত/স্বীকৃতিপ্রাপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রত্যেক খাতের আলাদা ব্যাংক একাউন্ট থাকার নিয়ম রয়েছে। প্রধান শিক্ষককে প্রতিটি খাতের যথাযথ হিসাব সংরক্ষণ এবং ব্যয় নির্বাহে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে সকল লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে। স্কুলের একাধিক খাতের অর্থ এক একাউন্টে জমা রাখার কোনো বিধান নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews