অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ছোটকুষ্টারী গ্রামের ফরিদুল ইসলামের স্ত্রী মহেছিনা বেগম উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানতে পায়, ২০২১-২০২২ সালের ভিজিডি কার্যক্রমের মূল তালিকায় তার নাম অন্তভূক্ত হয়। যার নং ৫০২। তালিকায় নাম থাকলেও ৫মাস থেকে চাল পাননি তিনি। চেয়ারম্যানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও চাল কিংবা কার্ড দেয়নি চেয়ারম্যান।
ভুক্তভোগী মহেছিনা বেগম বলেন, হামাক সরকার ভিজিডি কার্ড দিছে কিন্তু হামাক মিলন চেয়ারম্যান কার্ড দেয় না, চালও পাইনে। কয়েক বছর থেকে আমার স্বামী অসুখ কামাই করবার পায় না। তাই পরিবারের লোক জন নিয়ে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছি। তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি কার্ড ও চাল দেয়ার জন্য।এদিকে একই অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার দুলু মিয়ার স্ত্রী রুবি বেগম। তালিকায় ১৬৭ নম্বরে তার নাম থাকলেও চাল কিংবা কার্ড পাননি তিনিও। ভূক্তভোগী ওই নারী চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে তারও কার্ডটি হারিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আর্থিক লেনদেনের কারণে কার্ড দুটি আটক রাখা হয়েছিল, এখন তাদের কার্ড দুটি হস্তান্তর করা হবে। কি আর্থিক লেনদেনে কার্ড আটক রাখা হয়েছিল? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেনি চেয়ারম্যান।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ সখিনা খাতুন বলেন, ওই কার্ড দুটি ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে আছে, ভুক্তভোগীদের আবেদন পাওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply