এইবেলা. কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে এক প্রতিবন্ধি মেয়েসহ মা রহস্যময় নিখোঁজের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। নিখোঁজ মেয়ের ফুফু সিতারুন বেগম কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান ওসি বিনয় ভুষন রায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কর্মধা ইউনিয়নের টাট্রিউলি গ্রামে মালিকা নামক এক খারাপ মহিলার বসবাস। এলাকার মানুষের ভাষ্যমতে, মালিকা নানা অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত। তারই প্ররোচনায় পড়ে প্রতিবন্ধি জমির আলীর স্ত্রী ও প্রতিবন্ধি মেয়ে। প্রায় ৩বছর থেকে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে জমির আলীর স্ত্রী তার মেয়েকে নিয়ে ওই মালিকার বাড়িতে থাকতো। এর পেছনে মালিকার ইন্দন ছিলো। ঈদের ২-৩ দিন আগে মালিকা ও জমির আলীর স্ত্রী মিলে রক্তমাখা বেশ কিছু কাপড় চোপড় বাড়ির পাশের একটি টিলায় মাটিচাপা দেয়।
এঘটনার পর থেকে এলাকায় শুরু হয় নানা গুঞ্জন। বিষয়টি জানাজানি শুরু হলে ট্রাট্রিউলি গ্রামের লোকজন ২৩ জুলাই শুক্রবার মালিকাকে মসজিদে হাজির হয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু মালিকা মসজিদে উপস্থিত না হয়ে জমির আলীর স্ত্রী ও প্রতিবন্ধি মেয়েকে বাড়ি থেকে গোপন স্থানে পাঠিয়ে দেয়। শুরু হয় তোলপাড়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মালিকা ও জমির আলীর স্ত্রী মিলে প্রতিবন্ধি মেয়েকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে। ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে মা ও মেয়েকে গোপন স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছে।
কর্মধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাট্রিউলি মসজিদ পরিচালনা কমিটির মুতাওয়াল্লী মছদ্দর আলী জানান, আমি লোক মুখে বিষয়টি জেনেছি। জানার পর গত শুক্রবারে মসজিদে উপস্থিত হওয়ার জন্য খবর দিয়েছি। কিন্তু তারা মসজিদে উপস্থিত হয়নি।
এদিকে রোববার ২৫ জুলাই জমির আলীর বোন সিতারুন বেগম কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভুষন রায় জানান, সিতারুন বেগম লিখিত অভিযোগে মালিকা তাকে এবং তার স্বামীর সাথে খারাপ আচরণ করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। তবে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।#
Leave a Reply