কৃষকের ৩শ একর জমির পাকা আউশ ধান কাটা অনিশ্চিত
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে পশ্চিম সিঙ্গুর থেকে কালিয়ারগড় মাঠে ৩শ একর জমির পাকা ধান কাটা অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। ওই মাঠে যাওয়ার রাস্তা (ইছলাছড়ার পাড়) জবরদখল করে স্থানীয় এক প্রভাবশালী বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। ছড়ার পার জবরদখলমুক্ত করে কৃষকদের পাকা ধান কাটার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৬০ কৃষক ২২ আগস্ট রোববার কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে বরমচাল ইউনিয়নের সিঙ্গুর ও খাদিমপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম, আব্দুল লতিফ, আক্তার আলী, হাজী মোবারক আলী, ফারুক মিয়া, সহিদ আলী, এন্তাজ আলী, সাবির উদ্দিন, সুমন আহমদ, রজব আলী, মরতুজ আলী, আকরাম আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম, রাহেল আহমদ জানান, পশ্চিম সিঙ্গুর থেকে কালিয়ারগড় মাঠে ৩শ একর জমিতে কৃষি কাজ করতে হবিব উল্যাহর বাড়ির পাশ দিয়ে যাতায়াত করতেন। সম্প্রতি হবিব উল্যাহ বাড়ির সীমানা প্রাচীর পাকা করায় যাতায়াতে সেই রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। কৃষকরা কোন উপায় না পেয়ে পাহাড়ী ইছলাছড়ার পাড় রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু হবিব উল্যাহ পরিকল্পিতভাবে সরকারি ছড়ার পাড়টি জবরদখল করে বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভেতরে ঢুকিয়ে কৃষকদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন।
ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগে কৃষকরা উল্লেখ করেন, হবিব উল্যাহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সময় এলাকার মানুষ এমনকি বরমচাল ইউনিয়নের মেম্বার ও চেয়ারম্যান এতে বাঁধা দেন। কিন্তু তিনি কারো বাধা শুনেননি। ফলে ভুক্তভোগী কৃষকরা যাতায়াতের সুবিধার্থে ইছলাছড়ার পাড়টি জবরদখল মুক্ত করার জন্য কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবরে আবেদনের অনুলিপিও দিয়েছেন।
বরমচাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খান জানান, আমি বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছি। কৃষকদের সুবিধার্থে কিছু জায়গা ছেড়ে দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু হবিব উল্যাহ তাতে অনড়। সরকারি ছড়া জবরদখল মুক্ত করার ব্যাপারে তিনি উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।
অভিযুক্ত হবিব উল্যাহর সাথে তার বাড়িতে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে কোন কথা না বলে তিনি বাড়ি থেকে বরমচাল বাজারের দিকে বেরিয়ে যান।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, কৃষকদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে পাঠিয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#
Leave a Reply