গাছ গাছালি কাটতে বাঁধা দিলে নারীদের মারপিট ও গর্ভ নস্টের মামলায়
এইবেলা, কুলাউড়া ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নে জোরপূর্বক প্রবাসীর বাড়ির গাছ গাছালি কেটে নেয় স্থানীয় ত্রাস ও মাদক ব্যবসায়ী তানু মিয়া। গাছ-গাছালি কাটতে বাঁধা দিলে প্রবাসীর বাড়ির নারীদের ধাওয়া করে একটি ঘরে আটকে বেদড়ক মারপিট করে সে। এ মারপিটে এক নারীর ৫ মাসের গর্ভ নষ্ট হয়।
গত ৩১ আগস্ট প্রবাসী মাহমুদ আলীর জমির সৃজিত গাছ কাটলে সে বাড়ির দুই গৃহবধূ বাঁধা দিলে সেদিনই তাদেরকে মারপিট করা হয়। এ দিন সন্ধ্যায় মাহমুদ আলী বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। এরপর গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে ও বিকালে দুই দফা আরও কিছু গাছ কেটে নেয় তানু মিয়া।
বিষয়টি জানতে পেরে এ অভিযোগে কুলাউড়া থানায় মামলা হলে কুলাউড়া থানার পুলিশ ত্রাস ও মাদক ব্যবসায়ী তানু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার বাদী প্রবাসী মাহমুদ আলী জানান, সম্পর্কে তানু মিয়া তাদের মামাতো ভাই। তার এক ভাই সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন চিনু মিয়া। সেই চেয়ারম্যানের আমল থেকে মাদক ব্যবসা ও স্থানীয়ভাবে ত্রাসের রাজত্ব শুরু করে। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি ও মাদক মামলায় একাদিকবার সে গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেছে। গত দুই তিন বছর ধরে তানু মিয়া তাদের (মাহমুদ আলীর) বসত বাড়ির বাহিরের জমিতে সৃজিত গাছ গাছালি কেটে নেয়। এমনকি চাতলা ঘাটবাজারের তাদের দোকান কোটাও জবর দখল করে নেয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পর্যায়ে তার বিচার কেউ করতে পারেনি। বিষয়টি তিনি দফায় দফায় কুলাউড়া থানায় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছিলেন।
গত ৩১ আগষ্ট সকালে তার জমির সৃজিত কিছু গাছ কেটে নেয় তানু মিয়া। এ ঘটনায় বাড়ির দুই গৃহবধূ আয়েশা বেগম (২০) ও জয়রুননেছা(৪০) গাছ কাটায় বাঁধা দিয়েছিলেন। ফলে সে তাদেরকে ধাওয়া করে একটি ঘরে আটকে বেদড়ক মারপিট করলে ওই দুই গৃহবধূ গুরুতর আহত হন। এ মারপিটে গৃহবধূর ৫ মাসের গর্ভ নষ্ট হয়। এদিন সন্ধ্যায় তিনি কুলাউড়া থানায় একটি অভিযোগ করেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে ও বিকালে আবার তানু মিয়া দুই দফা কিছু গাছ কেটে নেয়। ঘটনাটি তিনি দ্রুত থানা কর্তৃপক্ষকে জানান। ফলে আজ মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ তানু মিয়াকে গ্রেফতার করে।
তানু মিয়াকে গ্রেফতারের পর স্থানীয় লোকজন জানান, তার ত্রাসের কারণে শরীফপুর ইউনিয়নে সাধারণ মানুষজন অসহায় ছিলেন। তার ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান চিনু মিয়ার সাথে কুলাউড়ায় ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেতার সু-সম্পর্ক। সে জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে কোন কাজ হয়না বলে ভয়ে কিছু না বলে সব কিছু নিরবে সহ্য করে নেন মানুষজন।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ ঘটনা সমূহের ও ত্রাস তানু মিয়াকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন এর আগে সে বিভিন্ন অপরাধে একাধিকার গ্রেফতার হয়েছিল।#
Leave a Reply