এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় ৩টি পৃথক মামলা হয়েছে। মামলায় আসামীর সংখ্যা ৫ শতাধিক। ফলে ৩ মন্দিরের পার্শ্ববর্তী ১০ গ্রামের মানুষের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ফজলু মিয়া নামক এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের গত ১৩ অক্টোবর বুধবার রাতে কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ মানুষ নলডরি পূজামন্ডপ, আছগরাবাদ চা বাগান পুজামন্ডপ ও রাজানগর চা বাগান পুজামন্ডপে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এঘটনায় কুলাউড়া থানায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়। এই ৩ মামলায় আসামী করা হয়েছে ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে।
এদিতে পুজা মন্ডপে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে পার্শ্ববর্তী নলডরি, নোনা হোসনাবাদ, মহিষমারা, টাট্রিউলি, ফটিগুলি, মুরইছড়া, বুধপাশা, দীঘলকান্দি, পাট্রাই ও কর্মধা গ্রামের মানুষের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান।
কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক জানান, পুলিশ কিভাবে মামলার আসামী চিহ্নিত করছে এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। তবে মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় এ ব্যাপারে চেষ্টা করবো।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পূর্বফটিগুলি গ্রামের ফজলু মিয়া নামক এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আসামীদেরও গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।#
Leave a Reply