নিজস্ব প্রতিবেদক:- কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মাদ্রাসা ছাত্র আশরাফুল ইসলাম তুহিন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৯ অক্টোবর রাতে কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগরের ডবলছড়া চা-বাগান থেকে আয়ান বাউরি (২০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে আয়ান বাউরি তুহিন কে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। স্মার্ট ফোন ও নগদ টাকা জন্য তুহিন কে চা-বাগানের সেকশনে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তা নিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতক আয়ান বাউরি। সে ডবলছড়া চা-বাগানের মৃত বসুক বাউরির ছেলে। কুলাউড়ার ভালাইরমা পান পুঞ্জিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত আয়ান বাউরি।
গত ১১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টায় বাবনিয়া হাসিমপুর নিজামিয়া আলিম মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র তুহিনের লাশ রাঙ্গিছড়া চা-বাগানের ১ নং সেকশন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পর দিন নিহত তুহিনের বাবা সজ্জাদ আলী বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই স্থানীয় লক্ষিপুর গ্রামের ইসমাইল আলী (৪৫) কে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ হত্যাকান্ডের ১০ দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে কুলাউড়া থানার এসআই আব্দুর রহিম জিবান ও শাহ আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রধান আসামীকে আটক করা হয়। এ সময় তুহিনের ব্যবহারি মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, নগদ টাকা ও মোবাইলের জন্য আয়ান দা দিয়ে কুপিয়ে মাদরাসা ছাত্র তুহিনকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ওই সময় একটি দা উদ্ধার করা হয়।
আটকের পর প্রধান আসামি আয়ান বাউরিকে বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজার কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply