এইবেলা, কুলাউড়া ::
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনু প্রবেশ করার মামলায় ৭ মাস ১২দিন মৌলভীবাজার কারাগারে কারাভোগ করেছেন ভারতের ত্রিপুরার দুই নাগরিক। দুই দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের যোগাযোগের ভিত্তিতে অবশেষে ১২ ডিসেম্বর দুপুরে তাদের মুক্ত করে আনুষ্ঠানিক ভাবে চাতলাপুর চেকপোষ্ট দিয়ে তাদের ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় নাগরিকরা হচ্ছেন, ভারতের ত্রিপুরার খোয়াই জেলার ক্যারাঙ্গীছড়ার বিদ্যাবিল গ্রামের মৃত সুরেশ দেব বর্মার ছেলে রাজিব দেব বর্মা ও একই গ্রামের যোগেশ দেব বর্মার ছেলে গুরুপদ দেব বর্মা।
মৌলভীবাজার কারাগার ও চাতলাপুর চেকপোষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ফের্রুয়ারি ২০২১ অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায় তাদের আটক করা হয়েছিল। এ বিষয়ে ধারা ১৯৫২ সালের কন্ট্রোল এন্টি এ্যাক্ট-৪ এ শ্রীমঙ্গল থানায় জিআর মামলা হয়েছিল। মামলায় তারা মৌলভীবাজার কারাগারে বন্দী ছিল। গত কয়েক মাস বন্দী ভারতীয়দের আতœীয়-স্বজনরা সংশ্লিষ্ট ভারতীয় বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে। যোগাযোগের মাধ্যমে আটক দুই ভারতীয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তর ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার কৈলাশহর আর কে আই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে রোববার দুপুরে হস্তান্তর করা হয়। এসময় উনকোটি জেলার জেলা মূখ্য হাকিম ইউকে চাকমা, ২০ নং পাডিন সাগর বিএসএফ কমানডেন্ট-এর প্রতিনিধিরাও বাংলাদেশের মৌলভীবাজার থানার সাব ইন্সেপেক্টর এরশাদুল হক ও মৌলভীবাজার কারাঘারের জেলার আবু মুসা উপস্থিত ছিলেন।
মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো: আনোয়ারুজ্জামান দুই বন্দী ভারতীয়দের রোববার আনুষ্ঠানিক ভাবে চাপতলাপুর চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশেষ পুলিশী ব্যবস্থাপনায় ভারতীয় নাগরিক রাজিব দেব বর্মা ও গুরুপদ দেব বর্মাকে চাতলাপুর চেকপোষ্টে পৌঁছে দেওয়া হয়। ভারত- বাংলাদেশের ভাতৃপ্রতীম বন্ধুত্বের আলোকে দুই ভারতীয়কে ফেরৎ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply