কুলাউড়ায় সাড়ে তিনশ শীতার্ত মানুষ পেলো কম্বল – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
একদল অপকর্ম করে পালিয়েছে, আরেকদল সেই অপকর্মের দায় কাঁধে তুলে নিয়েছে : শফিকুর রহমান আধ্যাত্মিক, মানবিক দর্শন ও লোক ক‌বি সাধক হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী আজ আজ বড়লেখা মুক্ত দিবস : মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আলোচনা সভা প্রয়াত ডা. পবন চন্দ্র দেবনাথের ছোট ভাই ব্রজেন্দ্র দেবনাথ আর নেই কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ফুলবাড়ীতে বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার সহকারি শিক্ষকদের সাটডাউন- বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ালেন অভিভাবকরা

কুলাউড়ায় সাড়ে তিনশ শীতার্ত মানুষ পেলো কম্বল

  • শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২

Manual6 Ad Code

মাহফুজ শাকিল ::

Manual4 Ad Code

ঘরো আমার দুই বাচ্চা বড়, শীতের রাইত একটি কম্বল দিয়ে কাটাইতে অইতো (হতো)। এখন আরেকটা কম্বল পাইছি বসুন্ধরার পক্ষ থাকি। আমার বাচ্চাইনতে (সন্তানরা) এখন আরামে (শান্তিতে) শীতের মাঝে রাতে ঘুমাইতে পারবো। বাংলাদেশের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া কম্বল উপহার পেয়ে এমন কথাটি বলছিলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কৌলারশি গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর সোয়াব আলী (৫০)। তাঁর মতো রুপজান বেগম (৬৫) ও তোহরা বেগম (৫৫) কম্বল পেয়ে বলেন, ‘রেল স্টেশনের একটা পরিত্যাক্ত ঘরে থাকি। শীতের মাঝে খুব কষ্ট হয়। কম্বল পাওয়ায় এখন রাত্রে আরামে ঘুমাতে পারবো। খুবই শান্তি লাগছে।’

Manual1 Ad Code

১১ বছরের জিল্লুর বলেন, হারাদিন কাইজ করে রাইত্রে ইস্টিশনের প্লাটফর্মে ঘুমাই। শীতের জন্য ঘুমাইতে কইষ্টো হইতো। এখন কম্বল জুইড়া ঘুমাইতে পারুম।

বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় ও দৈনিক কালের কণ্ঠ শুভসংঘর কুলাউড়া উপজেলা শাখার আয়োজনে কুলাউড়ায় পত্রিকার হকার, রিকশা শ্রমিক, হরিজন, রবিদাস, নরসুন্দর, চা-শ্রমিকসহ সাড়ে তিনশত শীতার্ত ও অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) পৌর শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে শুভসংঘ কুলাউড়ার সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি মাহফুজ শাকিলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় পরিচালক জাকারিয়া জামান, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক শামীম আল মামুন, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল, কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম, জেলা সাংবাদিক ফোরামের সহ সভাপতি এম মছব্বির আলী, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুল রহমান আখই, মৌলভীবাজার জেলা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক তাকবীর হোসাইন মান্না, কুলাউড়া শুভসংঘের সাধারন সম্পাদক মহি উদ্দিন রিপন প্রমুখ।

Manual5 Ad Code

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি বয়তুল আলী, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য শরীফ মাহদি আশরাফ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম শুভ, দৈনিক আজকের পত্রিকার কুলাউড়া প্রতিনিধি এস আলম সুমন, কুলাউড়া শুভসংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিদা আক্তার সেবিন, ক্রীড়া সম্পাদক রুমেল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

Manual8 Ad Code

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় ও ভূমি এবং গৃহহীন মানুষকে ঘর দিয়েছেন। করোনার সংকটের সময় সরকারের পক্ষ থেকে কর্মহীন অসহায় মানুষকে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় বসুন্ধরা গ্রুপ যে কোন দূর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সরকারের পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা সহায়তা করতে চায় তাহলে রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা তাদের সাথে স্বমন্বয় করে কাজ করে যাবো। ইউএনও ফরহাদ চৌধুরী আরো বলেন, ইতোমধ্যে জনপ্রিয় দৈনিক কালের কণ্ঠের পাঠক সংগঠন শুভসংঘের কার্যক্রম আমাদের উপজেলায় বেশ প্রশংসনীয়। শিক্ষা, সংস্কৃতির বিকাশের পাশাপাশি মানবিক সহায়তায় শুভসংঘ অবদান রাখছে। আজকে কুলাউড়ায় সাড়ে তিনশো শীতার্ত মানুষকে কম্বল দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সাথে স্বমন্বয় করায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সুবিধাবঞ্চিত যারা কম্বল পাননি আজ তারাও পেয়েছেন। বসুন্ধরা গ্রুপ আগামীতেও শুভসংঘের মাধ্যমে অসহায় মানুষের জন্য সহায়তার হাত আরো প্রসারিত করবে।

বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া কম্বল পেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা লোকজন অনেক খুশি হয়েছে। তারা সবাই বলেন, বসুন্ধরার মালিকের জন্য মন খুলে দোয়া করি, এই শীতের সময় আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কথা তিনি চিন্তা করেছেন। তিনি যেন সবসময় ভালো থাকেন, আল্লাহ পাক উনার মঙ্গল করবেন। কম্বল হাতে পেয়ে পৌর এলাকার ফাতেমা বেগম (৫৫), রুপিয়া বেগম (৪৫) বলেন, আমরা খুবই কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছি। স্বামীরা রিকশা চালিয়ে কোনমতে সংসার চালাচ্ছে। শীতের কম্বল কেনার কোন সামর্থ্য নেই। কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড শীত পড়েছে। বসুন্ধরার দেয়া এই শীতবস্ত্র পেয়ে এখন শীতের তীব্র কষ্ট থেকে কিছুটা রক্ষা পাবো।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!