এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের প্রবাসী শামীম আহমদ (৫১) হত্যাকান্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আসামীরা নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আসামীরা সবাই জামিনে মুক্ত থাকায় মামলা নিয়ে আইনী তৎপরতা চালানোয় শামীম আহমদের ভাই আব্দুল মতলিবকেও প্রাণে মেরে ফেলার প্রকাশ্য হুমকি দিচ্ছে।
কুলাউড়া থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, প্রবাসী শামীম হত্যাকান্ডের এক বছর পরে ময়নাবদন্ত প্রতিবেদন আসে। কিন্তু সেই প্রতিবেদনে সন্তোষজনক না হওয়ায় ভিসেরা রিপোর্টের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে নিহত প্রবাসী শামীম আহমদের ভাই আব্দুল মতলিব জানান, মামলার নামোল্লেখ করা ৭ আসামী জেলহাজত থেকে পর্যায়ক্রমে জামিনে বেরিয়ে এসেছে। এসেই তারা প্রথমে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আমি কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া আসামীরা এলাকায় মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে ফেলবে বলে লোকমুখে প্রচার করছে। তারা একটি মার্ডার করেছে প্রয়োজনে আরেকটি মার্ডার করবে বলে এলাকায় দম্ভোক্তি করেও বেড়াচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান জানান, হত্যাকান্ডের পর পরই আমরা মামলার নাম তালিকাভুক্ত সকল আসামীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি। তারা জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসার পর ভিসেরা রিপোর্টের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীরা নিহতের ভাই আব্দুল মতলিবকে হুমকি ধামকি দিয়েছে। এই ঘটনারও তদন্ত হয়েছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভুষণ রায় জানান, যেহেতু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে সন্তোষজনক কিছু পাওয়া যায়নি। নিশ্চিত হতে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ০২ ফেব্রুয়ারি উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব প্রবাসী শামীম আহমদ প্রতিপক্ষের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এঘটনায় ৭ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮/৫ জনকে আসামী করে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা (নং ১১/তারিখ ০৩/০২/২১) তায়ের করা হয়। এছাড়া জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২০১৯ সালের ১০ মে সালিশ বৈঠকে মারামারির ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।##
Leave a Reply