স্টাফ রিপোর্টার, এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের হাকালুকি হাওর সংলগ্ন মদনগৌরী এলাকায় অবস্থিত দুই শতাধিক বছরের পুরনো ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম পীর হযরত শাহ্ রাখাল (র:) এর ঢেরে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১ মে’২২ ইং) বিকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঢের এর ঝাড়–দার মানিক মিয়া ঘটনাস্থলেই মৃতুবরণ করেন। নিহত মানিক মিয়া মোকাম বাড়ীর বংশধর ছিলেন। তিনি বেশ কয়েক বছর থেকে মাজার ও ঢেরে ঝাড়– দেওয়ার মাধ্যমে খেদমত করে আসছিলেন। এ ঘটনায় মোকাম বাড়ীর আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ভূকশিমইল ইউনিয়নের অন্তর্গত মদনগৌরী গ্রামে অবস্থিত দুই শতাধিক বৎসরের পুরনো ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম পীর হযরত শাহ্ রাখাল (র:) মাজারের কর্তৃত্ব নিয়ে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো: রফিকুল ইসলাম রেনু চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এরই ধারবাহিকতায় গত রোববার (০১ মে ২০২২ইং) বিকালে মো: রফিকুল ইসলাম রেনু মোকাম দখলের উদ্দেশ্যে লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক একটি বৈঠকের আয়োজন করেন। এই খবর পেয়ে মোকাম বাড়ীর বংশধর কয়েকজন লোক মোকামে উপস্থিত হয়ে বৈঠকে বাধা নিষেধ প্রদান করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ মারাত্মক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মোকামবাড়ির বাসিন্দা মানিক মিয়া ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। মানিক মিয়া ওই মোকামের ঝাড়–দারের দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে উল্টো প্রতিপক্ষকে ফাসাতে সাবেক চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম রেনু নিজে বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরিকল্পিত এই মামলায় আসামী করা হয়- মদনগৌরী গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে কাওছার আহমদ (প্রধান আসামী), মৃত হাজী ছওয়াব আলীর ছেলে ইউনুছ মিয়া, তৈমুছ মিয়ার ছেলে মইনুল ইসলাম, মৃত হাজী ছওয়াব আলীর ছেলে ফয়াজ মিয়া, মৃত ইসহাক আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম, বাদশা মিয়ার ছেলে জয়নুল মিয়া, আজিদ মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া, এবং মৃত আপ্তার আলীর ছেলে জুয়াইদ আলী।
এই বিষয়ে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিণয় ভূষন রায় জানান, কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। নিহতের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। আসামীগণকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply