এইবেলা, কুলাউড়া :: কারণে অকারণে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীনতা। ভৌতিক বিল দিয়ে গ্রাহক হয়রানি। গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত দুর্ব্যবহার। নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৩ কর্মকর্তার দুর্নীতি আর ঘুষ বাণিজ্য। সংশ্লিষ্টদের উপর এমন নানা গুরুতর অভিযোগ কুলাউড়া (বিপিডিবি)’র বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের আওতাধীন (বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলার) উপকারভোগী গ্রাহকদের।
উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণে আল্টিমেটামও দিয়েছেন দুর্ভোগগ্রস্থ গ্রাহকরা। কিন্তু তারপরও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্টদের। গ্রাহকরা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, এ সময়ে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে কোনো ঘাটতি নেই তাছাড়া উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বির্পযয়ও নেই। তারপরও ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চরম দুর্ভোগে সেবাগ্রহীতা।
ইতোমধ্যে দুর্ভোগগ্রস্থ বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা এমন দুরবস্থা নিরসণে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যার অনুলিপি দেয়া হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের।
ঈদের আগে একটানা প্রায় তিনদিন বিদ্যুৎহীন ছিল পুরো ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন। ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে আসন্ন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ কর্মকর্তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আঁতাত করে নিন্মমানের খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয় ও বাৎসরিক মেরামতজনিত খরচ বাবদ বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে গ্রাকদের পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের দুর্ভোগে ফেলছে। তাছাড়া পুড়ে যাওয়া মিটার ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন লাইনে মিটার সংযোগ দেখিয়ে ভুতুড়ে বিলও দিচ্ছে। এমন বিলে গ্রাহক বিব্রত হলে মিটার রিডার ও লাইনম্যানদের মাধ্যমে দফারফা করা হয়। উৎকোচ দিলেই সব সমস্যার সমাধান। ব্যত্যয় হলে মামলার ভয়ভীতি ও মামলা দিয়েও করা হয় হয়রানি। মিটার সংযোগের ফি নিয়ে দীর্ঘদিন পরও মিটার না দিয়ে মাস শেষে কাগজের বিলের পরিবর্তে মিটার রিডারদের মাধ্যমে নগদ টাকা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
এসব বিষয়ে কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওসমান গণী জানান, গ্রাহকদের আনীত সব অভিযোগ সঠিক নয়। বৈরী আবহাওয়ায় কম লোকবল নিয়ে লাইন মেরামত করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, শিগগিরই উত্তর কুলাউড়ায় আরও একটি ৩৩/১১ হাজার কেবির একটি সাবস্টেশন নির্মাণ হচ্ছে। এটা হলে এই দুর্ভোগ থাকবে না। #
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085
Leave a Reply