এইবেলা, কুলাউড়া :: গত ২৪ ঘন্টায় কোন বৃষ্টিপাত না হলেও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সরেজমিন হাকালুকি হাওর তীরের ভুকশিমইল উচ্চ্ বিদ্যালয় ও কলেজ বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ ও গবাদি পশু একসাথে বসবাস করতে দেখা যায়। কুলাউড়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলিয়ে ৪০ হাজারের বেশি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েূছেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ জানিয়েছেন।
কুলাউড়া উপজেলা ছাড়াও হাকালুকি হাওর তীরের জুৃড়ী উপজেলার গত ৩দিন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে বালুভর্তি বস্তা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারদিকে বাঁধ দেয়। ফলে মঙ্গলবার বিকেল থেকে জুৃড়ী উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয় বলে কুলাউৃড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী ওসমান গনী নিশ্চিত করেন।
কুলাউড়া উৃপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএ ফরহাদ চৌধুরী জানান, হাওর তীরবর্তী কুলাউড়া উপজেলায় ২২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি সঙ্কট বিশুদ্ধ পানীয় জলের। মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কুলাউড়া পৌরসভা ও কাদিপুর ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এছাড়াও ২শ গ্রাম দুধ, এক কেজি পোলাও চাল, বাচ্চাদের খাবার উপযোগি বিস্কুট, সাগু, চিনি, তেল, ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। আগামীকাল বুধবার রেডিমেইড গো খাদ্য বিতরণ করা হবে।
সরেজমিন ভুকশিমইল ইউনিয়নের ভুকশিমইল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ বন্যাআশ্রয় কেন্দ্রে গেলে দেখা যায়, আশ্রয়কেন্দ্রের একাপাশে রাখা হয়েছে গবাদি পশু। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত জমসিদ মিয়া, জমির আলী জানান, গবাদিপশু রাখার কোন জায়গা নেই। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়ি সকল শুকনো স্থান। ফলে বাধ্য হয়েই তারা গবাদি পশুকে নিয়ে আসেন আশ্রয়কেন্দ্রে। তবে গবাদিপশুর তীব্র খাদ্য সঙ্কট থাকায় শুধুমাত্র কচুরিপানা কেটে দেয়া হচ্ছে।##
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply