এইবেলা, কুলাউড়া :: নিজের শেষ নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন মৌলভীবাজার-০২ কুলাউড়া আসনে তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী এমএম শাহীন। তিনি বলেন, পরবর্তী নির্বাচনে আমাকে আর ভোট দেয়ার সুযোগ থাকবে না। এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। তাঁর এই ঘোষণায় ভোটারদের মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে কুলাউড়ার রাজনীতিতে এমএম শাহীন অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটছে।
২৪ ডিসেম্বর রোববার কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের দিনব্যাপী গণসংযোগকালে বিভিন্ন পথসভায় বক্তব্য দানকালে এমএম শাহীন বলেন, আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। আপনারা চাইলেই আগামী নির্বাচনে আমাকে ভোট দিতে পারবেন না। তাই শেষ বারের মত যদি আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেন, তাহলে আমি শতভাগ উজাড় করে দিয়ে কুলাউড়ার উন্নয়নে কাজ করে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে আপনাদের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। শুধু তাই নয় নির্বাচিত হওয়ার পর ৫ বছরে ৫ বারও কুলাউড়ায় আসেন নি। সরকারি টাকা লুটপাট হয়েছে। এসব থেকে পরিত্রাণে মানুষের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে, আগামী ৫ বছরের জন্য আপনাদের ভোটের আমানত নিতে চাই।
পথসভায় বক্তব্য দেন বরমচাল ইউনিয়নের মেম্বার কেরামত আলী, সাবেক মেম্বার শাহানুর রহমান সাধন, উপজেলা যুব সংহতির সাবেক সভাপতি হারুনুর রশীদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা রাহাত সিপার, ও চা শ্রমিক নেতা নিতাই দাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সাবেক এমপি এমএম শাহীন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের হাত ধরে ১৯৯০ সালে কুলাউড়া রাজনীতিতে যোগদান করেন। অর্থবিত্ত আর চৌকষ নেতৃত্বগুণে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত হন এমএম শাহীন। সেসময় বিএনপি তথা ৪ দলীয় জোট মনোনয়ন দেয় জামায়াতে ইসলামী তথা ৪ দলীয় জোটের প্রার্থীকে। দলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তৎকালীন কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মো. মনসুর আহমদকে পরাজিত করে দেশজুড়ে চমক দেখান। #
Leave a Reply