এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য শারিরীক নির্যাতনের ঘটনা ভিন্নখাকে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চলছে। ২নং আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় মামলার সাক্ষীদের হুমকি ধামকিসহ নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এদিকে গত সোমবার (১ এপ্রিল) কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিপংকর ঘোষ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
জানা যায়, চুনঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সঞ্চিতা রানী দেব গত ২৪ মার্চ কুলাউড়া থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং- ১৯/২৪) দায়ের করেন। মামলায় ২জনকে আসামী করেন। ১নং আসামী তার স্বামী অগ্রণী ব্যাংক কুলাউড়া শাখার কর্মকর্তা সুজিত কুমার দে (৫৫) এবং ২নং আসামী তার বড় ভাই সন্তোষ দে (৫৯)। পুলিশ সুজিত কুমার দেকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। কিন্তু মামলার ২নং আসামীকে পুলিশ রহস্যময় কারণে গ্রেফতার করছে না। সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।
এামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। ২নং আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিপংকর ঘোষ জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করছেন। সাক্ষ্য গ্রহণ করছেন।
উল্লখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বটি দা দিয়ে স্কুল শিক্ষিকা সঞ্চিতা রানী দে উপর হামলা চালায় তার স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা সুজিত দে। এতে তার হাতে তিনটি আঙ্গুলে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জখম গুরুতর হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসা গ্রহণ শেষে ২৩ মার্চ শনিবার কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুজিত কুমার দে’কে আটক করে রোববার ২৪ মার্চ আদালতে সোপর্দ করেছে।##
Leave a Reply