এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের লিল মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনা আপোষ নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় নিহতের স্ত্রী সুলতানা বেগমকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির করে হত্যা মামলার প্রধান আসামী শামীম আহমদের ভাই শাহেদ মিয়া তার সহযোগিরা। এসব ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সংবাদ সম্মেলন বিকেলে কুলাউড়ায় স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত লিল মিয়ার ভাই আইয়ুব আলী। এসময় নিহত লিল মিয়ার স্ত্রী সুলতানা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইয়ুব আলী জানান, চলতি বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি রাতে আমার ভাই সিএনজি অটোরিক্সা চালক লিল মিয়াকে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ভাটেরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের শামিম আহমেদ ওরফে শামিম মোল্লা ও শাওন নামের দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ মে শামিম মোল্লার ভাই সাহেদ আহমদ, রহিম খান ও উসমান খান সঙ্গীয় কয়েকজনকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আমার ভাই নিহত লিল মিয়ার স্ত্রী সুলতানা বেগমকে মামলা আপোষ নিষ্পত্তি করতে চাপ সৃষ্টি করেন। এ সময় আমার ভাবি আপোষে রাজি না হয়ে, তিনি আইনের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের কথা বলাতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ভাবিকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। তাদেও হামলায় গুরুতর আহত ভাবিকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আইয়ুব আলী আরও বলেন, গত ১৯ মে সাহেদ আহমদ তার সঙ্গীয় কয়েকজন নিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নাটক সাজিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আমার পরিবারকে নিয়ে ভয়ংকর মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্ভট অভিযোগ করেন। আমি এসবের নিন্দা ও আমার ভাই লিল মিয়া হত্যার বিচার চাই।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলী মাহমুদ জানান, বিষয়টি রেলওয়ে থানায় মামলা চলছে। রেলওয়ে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। নিহত লিল মিয়ার স্ত্রী সুলতানা বেগমের উপর হামলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। থানায় বিষয়টি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। রেলওয়ে থানার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। এব্যাপারে তারা কোন সহযোগিতা চাইলে আমরা করবো।#
Leave a Reply