কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: অতিসম্প্রতি ভারী বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল এলাকার কেওলার হাওরে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল এবং লাঘাটা ও পলক নদীতে অবৈধ বাঁশের খাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। ফলে পানি নিস্কাশনে প্রতিবন্ধকতা, মাছ, ব্যঙ, কুচিয়া সহ জলজ প্রাণী ধ্বংস প্রাপ্ত হচ্ছে এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সম্প্রতি অতি বর্ষনের ফলে হাওর ও নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে উপজেলার পতনঊষার, মুন্সীবাজার ও শমশেরনগর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল কেওলার হাওর, মকাবিল সহ বিভিন্ন জলাশয়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে পড়ছে। একশ্রেণির মাছ শিকারী চক্র প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এভাবে হাওর ও জলাধারকে কেন্দ্র করে শত শত কারেন্ট জাল ফেলে মাছ শিকার করছে। মাছের সাথে কারেন্ট জালে ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে। স্থানীয় হাটবাজার সমুহেও প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে নিষিদ্ধ এসব কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে পতনঊষারে লাঘাটা নদীর গোপীনগর এলাকায় অবৈধ দু’টি বাঁশের খাঁটি (বেড়া) ও পলকীর পার এলাকায় পলক নদীর উপর পাঁচটি বাঁশের খাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। মৎস্য আইনে নিষিদ্ধ এসব বাঁশের খাঁটি স্থাপন করার ফলে পানি নিস্কাশন ও মাছের অবাধ গতিপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বাঁশের খাঁটির সাথে স্থাপিত মাছ ধরার খাঁচায়ও (পারন) কুচিয়া, সাপসহ নানা প্রজাতির জলজ প্রাণি ধরা পড়ছে এবং মারা যাচ্ছে।
পতনঊষারের সমাজকর্মী তোয়াবুর রহমান, ইকবাল হোসেন তালুকদার, মাইদুল ইসলামসহ স্থানীয়রা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে কেওলার হাওরে অবাধে কারেন্ট জালের ছড়াছড়ি শুরু হয়। একইভাবে লাঘাটা ও পলক নদীতে অসংখ্য বাঁশের খাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। ফলে পানি নিস্কাশন, মাছের অবাধ প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়ায় দীর্ঘ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শহীদুর রহমান বলেন, নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের কারনে মা মাছ সহ জলজ প্রাণী ধ্বংস করে দিচ্ছে। সম্প্রতি পতনঊষার ইউনিয়নের কেওলার হাওর থেকে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকারের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয় ও কিছু জাল উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়। তিনি আরও বলেন, কারেন্ট জাল ও বাঁশের খাঁটি বিষয়েও অভিযান অব্যাহত থাকবে।#
Leave a Reply