সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে দেয়া হবে স্মারকলিপি- কোদাল নিয়ে বুড়িকিয়ারি বাঁধ অভিমুখে অভিযাত্রা
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
হাকালুকি হাওর তীরের ভয়াবহ বন্যা ও দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। তাতে কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়া না হলে কোদাল নিয়ে বুড়িকিয়ারি বাঁধ অভিমুখে অভিযাত্রা করবে ৩ উপজেলার মানুষ।
হাওর তীরের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা ও দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় নিয়ে ১৭ জুলাই বুধবার কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এমন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
মতবিনিময় সভায় মতামত ব্যক্ত করেন কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ, বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবু ইমাম চৌধুরী কামরান, উপজেরা ভাইস চেয়ারম্যান নেহার বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, সাগরনাল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুন নুর চৌধুরী, ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম শামীম, প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, প্রেসক্লাব সভাপতি আজিজুল ইসলাম, কাউন্সিলার সাইফুর রশীদ সুমন, ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি আতিকুর রহমান আখই, খালেদ পারভেজ বখস, অজিউর রহমান আছাদ, কল্যান প্রসুন চম্পু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, হাকালুকি হাওর তীরের ৩ উপজেলার মানুষকে ভয়াবহ বন্যা ও দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে ফেঞ্চুগঞ্জের বুড়িকিয়ারি বাঁধ অপসারণ করতে হবে। এরপর ভরাট হয়ে যাওয়া হাকালুকি হাওর ও কুশিয়ারা নদীকে খনন করতে হবে।
মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে সভার সভাপতি ও কুলাউড়া পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ বলেন, সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত হলো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বুড়িকিয়ারি বাঁধ অপসারণের দাবিতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। একমাসের মধ্যে যদি দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ না নেয়া হয়, তবে কোদাল নিয়ে বুড়িকিয়ারি বাঁধ অপসারণের উদ্দেশ্যে অভিযাত্রা করা হবে। তাছাড়া হাওর তীরের জনমত গঠনে প্রত্যেক উপজেলা মতবিনিময় সভা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, সিলেটের জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ২০০৪ সালে উপজেলা পরিষদ ও পিটাইটিকর গ্রাম রক্ষায় কুশিয়ারা নদীর সাথে হাকালুকি হাওরের সংযোগস্থলে বুড়িকিয়ারী নামক স্থানে একটি অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরফলে ২০০৮, ২০১০, ২০১৪, ২০২০, ২০২২ ও ২০২৪ (চলতি) ৬ বার বন্যা দীর্ঘস্থায়ী ও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। হাওর তীরের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়।###
Leave a Reply