ইবি ডেস্ক :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে স্বর্ণা দাস (১৪) নামের এক বাংলাদেশী কিশোরী মারা গেছে। ঘটনাটি রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্ত এলাকায় ঘটে।
স্বর্ণা জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। সে স্থানীয় নিরোদ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৬ ব্যাটালিয়নের একটি দল নিহত স্বর্ণাদের বাড়িতে ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে যায়। এ সময় খবরটি এলাকায় জানাজানি হয়।
খবর পেয়ে নিহত স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস ও মা সঞ্জিতা রানী দাস জানান, তাঁদের এক ছেলে দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে থাকেন। ছেলেকে দেখতে সঞ্জিতা ছোট মেয়ে স্বর্ণাকে সঙ্গে নিয়ে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় লালারচক সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় তাঁদের সঙ্গে চট্টগ্রামের এক দম্পতিও ছিলেন। রাত নয়টার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে স্বর্ণা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। চট্টগ্রামের দম্পতির হাঁটু ও ঊরুতে গুলি লাগে। তবে, সঞ্জিতার শরীরে কোনো গুলি লাগেনি। গুলি থামার পর সঞ্জিতাসহ আহত দম্পতি লালারচকের বাসিন্দা সেনা সদস্য জহিরুল ইসলামদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে আহত দম্পতিকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নাম-ঠিকানা জেনে ওই বাড়ির লোকজন সঞ্জিতার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে স্বজনেরা গিয়ে তাঁকে নিয়ে বাড়ি ফিরেন।
স্বজনেরা বলেন, পরেন্দ্র ও সঞ্জিতা দম্পতির চার সন্তান। তাঁদের এক ছেলে ওমানে থাকেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে।
বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের লালারচক বিওপি’র টহল কমান্ডার নায়েক ওবায়েদ জানান, কয়েক জন বাংলাদেশী চোরাই পথে ভারতে যেতে চেয়েছিলেন। এরমধ্যে একজন বিএসএফের গুলিতে মারা গেছেন বলে তাঁরা জেনেছেন। তবে, এখনো ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিহত ব্যক্তির লাশ হস্তান্তর করেনি। এ বিষয়ে এর বেশি কোনো মন্তব্য করতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।#
since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in
Leave a Reply