এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের সনজরপুর- নিশ্চিন্তপুর সড়কের পাশ থেকে থেকে বন বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তার যোগসাজশে অবৈধভাবে ৫২টি সেগুন গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে রাজস্ব বঞ্চিত সরকার। কমলগঞ্জের এক ব্যবসায়ী সম্প্রতি সময়ে সেগুন গাছ কেটে নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শরীফপুর ইউনিয়নের সনজরপুর-নিশ্চিন্তপুর সড়কের একপাশে সারিবদ্ধ থাকা ৫২টি সেগুন গাছ কেটে নেয়া হয়েছে। গাছের গুড়াগুলো কালের সাক্ষী হিসাবে পরিত্যক্ত রয়েছে। মাঝারি সাইজের সারিবদ্ধ গাছগুলো কেটে ফেলায় সেখানকার পরিবেশ খাঁ খাঁ করছে। গাছগুলোর বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। কেটে নেওয়া গাছের বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকা হবে।
বন বিভাগের কুলাউড়া রেঞ্জ অফিসের এক কর্মকর্তার সাথে সমঝোতা করে কমলগঞ্জের মিলন মিয়া নামে এক কাঠ ব্যবসায়ী গাছগুলো কেটে নিয়েছেন। তবে গাছ কাটার বিষয়ে এলজিইডি কিছুই জানে না। বন বিভাগও তাদের আয়ত্তের বাইরে ও ব্যক্তি মালিকানার গাছ বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।
স্থানীয়রা জানান, গাছ কাটার সময়ে বন বিভাগের লোকজনও এখানে এসে গাছ কাটা বন্ধ কওে যান। কয়েকদিন পর আবার গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শাহীন আহমেদ নামের এক ব্যক্তি জানান, কুলাউড়া রেঞ্জ অফিসের ফরেস্ট গার্ড আমিনুল ইসলামের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকার গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে।
গাছের মালিকানা দাবিদার মনোহরপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা খালিক মিয়া বলেন, আমার জমির উপর লাগানো সেগুন গাছ আমি এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছি। সড়ক আমার জমি কেটে নিয়েছে। কমলগঞ্জের এক ব্যক্তির কাছে গাছ বিক্রি করেছি। সে বন বিভাগের অনুমতি নিয়েছে, না কিভাবে গাছ কেটে নিয়েছে সেটি আমার দেখার বিষয় নয়।
কমলগঞ্জের গাছ ক্রেতা মিলন মিয়া মোবাইল ফোনে গাছ কিনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন সেগুন গাছ কিনি নাই এবং মনোহরপুর গ্রামও চিনি না।
শরীফপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লাল মিয়া বলেন, সড়কের পাশ থেকে গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগের লোকজনও সেখানে আসতে শুনেছি। তবে পরে কি হয়েছে আমার জানা নেই।
এলজিইডি কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম বলেন, গাছ কেটে নেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট বন বিভাগের কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার এখান থেকে মনোহরপুর ২৮ কিলোমিটার দূর। এগুলো বাড়ির গাছ। জমি আমাদের নয়, গাছও আমাদের নয়।
এ ব্যাপারে সিলেট বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বাড়ির গাছ কাটতে হলেও বনবিভাগের অনুমতি নিতে হয়। আর সড়কের পাশ থেকে সেগুন গাছ কাটার বিষয়ে অবশ্যই অনুমতি লাগবে। বন বিভাগের কেউ এর দায় এড়াতে পারেন না। আমি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিচ্ছি।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply