কুলাউড়ায় নাজমা বেগমের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল : মামলা প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাজস্ব তহবিলের অর্থ আত্মসাত- বড়লেখা উপজেলা পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক বরখাস্ত, বিভাগীয় মামলা বড়লেখায় নবপল্লব প্রকল্পের ‘প্রকল্প অবহিতকরণ’ সভা একদল অপকর্ম করে পালিয়েছে, আরেকদল সেই অপকর্মের দায় কাঁধে তুলে নিয়েছে : শফিকুর রহমান আধ্যাত্মিক, মানবিক দর্শন ও লোক ক‌বি সাধক হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী আজ আজ বড়লেখা মুক্ত দিবস : মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আলোচনা সভা প্রয়াত ডা. পবন চন্দ্র দেবনাথের ছোট ভাই ব্রজেন্দ্র দেবনাথ আর নেই কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান

কুলাউড়ায় নাজমা বেগমের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল : মামলা প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি

  • শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫

Manual5 Ad Code

এইবেলা, কুলাউড়া  :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পুথিমপাশা ইউনিয়নে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নাজমা বেগম (৪০) নামক এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। নাজমার মৃত্যুর সাথে অভিযুক্ত সোহাগ মিয়া ও ফারুক মিয়ার কোন সম্পৃক্ততা নেই। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযুক্তদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার দাবি করেন।

Manual2 Ad Code

নাজমা রেগমের মৃত্যুর ঘটনায় মো: সোহাগ মিয়া ও মো: ফারুক মিয়া দু’ভাইকে আসামী করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে ২-৩ জনকে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে সোহাগ মিয়ার স্ত্রী মোছা রোকেয়া বেগম ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী ডলি বেগম এবং তাদের মা আয়াতুন বেগমের দাবি, নাজমা বেগমের মৃত্যুর ঘটনা পুরোটাই সাজানো নাটক। সোহাগ মিয়া কিংবা ফারুক মিয়া কেউই নাজমা বেগমকে মারপিট তো দূরের কথা স্পর্শও করেননি। নাজমা বেগম দীর্ঘদিন থেকেই নানাবিধ অসুখে ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি মারা যান। পুলিশও সুরতহাল রিপোর্টে কোন আঘাতের চিহ্ন পায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই এর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

জানা যায়, নাজমা বেগম ও তার বোন সুমেনা বেগম এবং বোন জামাই শফিক মিয়া স্থানীয়ভাবে দাদন (চড়াসুদ) কারবারী (ব্যবসায়ী)। ব্যবসার জন্য ওই চক্রের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ধার (কর্য্য) নেন সোহাগ। সেই টাকা চক্রবৃদ্ধি হারে ৭ লাখ টাকা হয়ে গেছে বলে দাবি করেন শফিক মিয়া। গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শফিক মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন টাকা চাইতে গিয়ে সোহাগ মিয়ার দোকানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সোহাগ মিয়াকে গুরুতর জখম করে এবং দোকানে ভাঙচুর চালায়। এঘটনায় সোহাগ মিয়া কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে ঘটনার পরদিন ১৮ জানুয়ারি সকালে অসুস্থ নাজমা বেগমকে প্রথমে রবিরবাজার একটি ক্লিনিকে এবং পরে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনার আরও একদিন পর ১৯ তারিখ নাজমা বেগমের ছেলে মুরাদ মিয়া বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় মামলা (নং-১৫, তারিখ ১৯/০১/২৫) দায়ের করেন। মামলায় সোহাগ মিয়া ও ফারুক মিয়াকে আসামী করা হয়।

ফারুক মিয়ার স্ত্রী ডলি বেগম ও মা আয়াতুন বেগম দাবি করেন, ঘটনার সময় ফারুক মিয়া ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। ১৭ জানুয়ারি সোহাগ মিয়াকে মারপিট করে আহতবস্থায় ফেলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর ২-৩ দিন আগে ফারুক মিয়ার দোকানের আগুন লেগে তার দুটি পা পুড়ে যায়। তিনি অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে ছিলেন। তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। সোহাগ মিয়া জেলে আর ফারুক মিয়া পুড়া দুটি পা নিয়ে পলাতক। এমতাবস্থায় বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় বৃদ্ধ শাশুড়ীকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছেন।

Manual7 Ad Code

গৃহবধু রোকেয়া বেগম ও ডলি বেগম জানান, ধারকৃত সুদের টাকার বিষয়টি পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নবাব আলী নকী খানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশে সমাধান করে দেন এবং নাজমা বেগমদের প্রাপ্য টাকা মাধ্যস্থতাকারীদের কাছে রয়েছে। এমতাবস্থায় তারা পরিকল্পিতভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটায়। সুদের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মুলত হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

Manual3 Ad Code

ঘটনার সালিশকারী পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নবাব আলী নকী খান জানান, ৮৫ হাজার টাকা ধার্য্য করে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। ফরিদ মেম্বারের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকা নেন নাজমা বেগমের স্বামী ফখরু মিয়া। বাকি ২৫ হাজার টাকাও পরিশোধ করেন সোহাগ মিয়া। কিন্তু সেই টাকা নিয়েও তারা সোহাগ মিয়ার দোকানে গিয়ে তার উপর হামলা চালায়। নাজমা বেগম অসুস্থ ছিলেন, এই মারামারির ঘটনায় যে তার মৃত্যু হয়েছে- এটা সঠিক নয়। তদন্ত হলেই সত্যতা মিলবে।

Manual2 Ad Code

এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। যেহেতু নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, তাই মামলা নেওয়া হয়েছে। তবে সুরতহাল রিপোর্টে শরীওে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলো না।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!