এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের দক্ষিন কেওলাকান্দি গ্রামে মসজিদে তারাবির নামাজকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় ৯জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের পক্ষে থানায় মামলা দায়ের করা হলেও ঘটনার ৩দিন পর প্রতিপক্ষ থানায় পাল্টা মামলা দায়ের করেন। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী ও বিত্তশালী হওয়ায় হামলার শিকার ৪ টি পরিবারের লোকজন হুয়রানির শিকার হয়ে আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার হাজিপুরের দক্ষিন কেওলাকান্দি গ্রামে খতম তারাবি ও ছুরা তারাবির নামায পড়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ১৭ এপ্রিল শনিবার রাতে তারাবির নামায শেষে ইন্তাজ আলীর ছেলে রাসেল আহমদ মদরিছ ও হান্নান মিয়ার নেতৃতে¦ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চান্দু মিয়ার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা চালায়।
হামলায় আব্দুল গফুর (৬৫), ইসলাম উদ্দিন (৪৫), জেসমিন বেগম (২০), আম্বিয়া বেগম (৫০), সুরুজ আলী (৫৫) মসুদ আলী (৫৫), আবুল কাশেম (৩২), রেদোয়ানুল ইসলাম রাহী (১৫) ও নিজাম উদ্দিন (১১) গুরুতর আহত হন। আহতদের কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
উক্ত ঘটনায় মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ চান্দু মিয়া বাদি হয়ে রাসেল আহমদ মদরিছকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নামোল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামী করে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা (নং ১৪ তারিখ ১৯/০৪/২১) দায়ের করেন।
উক্ত মামলা দায়েরের ৩ দিন পর ২১ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় প্রধান আসামী মদরিছ আলীর বোনের জামাই ছবেদ আলী বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় আরেকটি পাল্টা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মসজিদ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মখদ্দছ আলী, সেক্রেটারি ইসলাম উদ্দিন ও কোষাধ্যক্ষ চান্দু মিয়াসহ ১৫ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা (নং ১৫ তারিখ ২১/০৪/২১) দায়ের করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাসেল আহমদ মদরিছ একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী হওয়ায় টাকা দিয়ে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ঘটনার ৩দিন পর নিজের বোনের জামাইকে দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদি ছবেদ মিয়া থানায় দায়েরকৃত অভিযোগনামায় তাদের পক্ষে ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। যা স্থানীয় সুত্রে মিথ্যা বলে জানা গেছে।
মসজিদ কমিটিরি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মখদ্দছ আলী ও সেক্রেটারি ইসলাম উদ্দিন জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে মসজিদে ছুরা তারাবি পড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু রাসেল আহমদ মদরিছ জোরপূর্বক মসজিদে তার ভাতিজাকে ইমাম করে খতম তারাবি পড়া শুরু করায় মুসল্লিরা নামাজ না পড়ে চলে যান। ঘটনার দিন পঞ্চায়েতের লোকজন ছুরা তারাবি পড়লে মদরিছ তার পক্ষের লোকজন নিয়ে পরিকল্পিত হামলা চালায়। তাদের টাকা পয়সা ও প্রভাব থাকায় থানায় মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে পাল্টা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।
অভিযুক্ত রাসেল আহমদ মদরিছের সাথে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নং ০১৩২২০৩১২০০ নাম্বারে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু জানান, মসজিদে মুসল্লিদের উপর হামলার মুল নায়ক দেশ ও প্রবাসে জামায়েতের সক্রিয় সংগঠক রাসেল আহমদ মদরিছ। এলাকায় নিজের পরিবারের আধিপত্য ধরে রাখা ছিলো এই হামলার মুল লক্ষ্য।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভুষণ রায় জানান, তারাবির নামাজকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজন আহত থাকায় থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রথম মামলা হওয়ার পর থেকে আসামীরা পলাতক। গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান চলছে।#
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply